টিকিট ছাড়াই জোর করে ট্রেনে ওঠেন একদল তরুণ, পরে যা হলো

টিকিট ছাড়াই জোর করে ট্রেনে ওঠেন একদল তরুণ, পরে যা হলো

বিনা টিকিটে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে আসতে চেয়েছিলেন ২০-২৫ জন তরুণ। এতে রেলের কর্মীরা বাধা দিলে শুরু হয় বাগ্‌বিতণ্ডা। একপর্যায়ে জোর করে তিনজন ছাড়া অন্য সবাই উঠে পড়েন ট্রেনে। এমন অবস্থায় ট্রেন ছেড়ে দিলে আবার ট্রেনের ভেতরে হট্টগোল শুরু করেন তরুণেরা। ট্রেন ব্যাক করিয়ে অন্য তিনজনকে নেওয়ার আবদারও করেন তারা। তাদের কথা না শুনলে ট্রেনের ভেতরে দায়িত্বরত রেলকর্মীদের লাঞ্ছিত করেন তরুণেরা। তাদের বিশৃঙ্খলার কারণে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে ট্রেন থামাতে বাধ্য হন লোকোমাস্টার (ট্রেনচালক)।

বিনা টিকিটে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে আসতে চেয়েছিলেন ২০-২৫ জন তরুণ। এতে রেলের কর্মীরা বাধা দিলে শুরু হয় বাগ্‌বিতণ্ডা। একপর্যায়ে জোর করে তিনজন ছাড়া অন্য সবাই উঠে পড়েন ট্রেনে। এমন অবস্থায় ট্রেন ছেড়ে দিলে আবার ট্রেনের ভেতরে হট্টগোল শুরু করেন তরুণেরা। ট্রেন ব্যাক করিয়ে অন্য তিনজনকে নেওয়ার আবদারও করেন তারা। তাদের কথা না শুনলে ট্রেনের ভেতরে দায়িত্বরত রেলকর্মীদের লাঞ্ছিত করেন তরুণেরা। তাদের বিশৃঙ্খলার কারণে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে ট্রেন থামাতে বাধ্য হন লোকোমাস্টার (ট্রেনচালক)।

পরে অবশ্য ট্রেনে যাত্রী হিসেবে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসে এ ঘটনা ঘটে। দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছাড়ে।

এ বিষয়ে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার স্টেশনে ২০-২৫ জনের একদল তরুণ বিনা টিকিটে কক্সবাজার এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রামে আসতে চান। তারা নিজেদের ছাত্র পরিচয় দেন। টিকিট ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ করা সম্ভব না বলা হলেও তা গুরুত্ব দেননি। একপ্রকার জোর করেই ট্রেনে উঠে পড়েন তারা; কিন্তু তিনজন ট্রেনে উঠতে পারেননি। এই তিনজনকে রেখে ট্রেন ছেড়ে দিলে চলতি পথে ট্রেনের ভেতরে থাকা রেলকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও হাতাহাতি করতে থাকেন তারা।

তিনি বলেন, ওই তরুণেরা ট্রেনের ভেতরে জিনিসপত্রও ভাঙচুর করতে থাকেন। এমনকি ট্রেন থামিয়ে আবার কক্সবাজার স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেন। এর মধ্যে ট্রেন ছয় কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। এ অবস্থায় ট্রেন আবার পেছনে নিয়ে গেলে দুর্ঘটনার শঙ্কা আছে। আর গন্তব্যে পৌঁছাতেও বিলম্ব হবে। তা ট্রেনের অভ্যন্তরে থাকা সাউন্ডসিস্টেমে ঘোষণা করা হলে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

এরপর ট্রেনে থাকা একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ও তাঁর সঙ্গে থাকা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হন বলে জানান রেলওয়ের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, যাত্রীদের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তরুণদের নিবৃত্ত করেন। পরে আর কক্সবাজার না গিয়ে সোজা চট্টগ্রাম চলে আসে। এরপর বিনা টিকিটে ভ্রমণ করার কারণে ওই তরুণদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে চট্টগ্রাম স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *