জামালপুরে ৬৫ বছরের পুরোনো গবাখালী খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছে প্রশাসন। গতকাল দুপুরে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
এই পরিষ্কার-পরিচ্ছনতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম।
৬৫ বছর আগে শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য এই খালটি খনন করা হয়। শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি খালের পানি ব্যবহার করে কৃষিকাজ ও মৎস্য আহরণ ছিল খাল খননের অন্যতম উদ্দেশ্য। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার বা পরিষ্কার না করায় খালের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তাই খালটিকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করা হয়।
জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম জানান, শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে আজ এই খাল পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হলো। ৩০ ফুট প্রস্থের ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই খালের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে জেলা প্রশাসন ছাড়াও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, পৌরসভা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সম্পৃক্ত রয়েছেন। খালটির শহরের অংশে কার্যক্রম শুরু হলেও ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত এই খালের সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান থাকবে। খালের দুটি পয়েন্টে প্রাথমিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ করা হয়েছে। এতে অংশ নেয় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দুই শতাধিক সদস্য। মোট ৪টি পয়েন্টে আগামী এক সপ্তাহ এই কর্যক্রম পরিচালিত হবে। পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কারের মাধ্যমে খালের প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা হলে শহরের পানি নিষ্কাশন ও বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব হবে।
জামালপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই গবাখালী খাল পৌর শহরের শেখেরভিটা এলাকা থেকে শুরু হয়ে শহরের মনিরাজপুর, ছুটগড় হয়ে কেন্দুয়া ইউনিয়নের নাকাটি, দামেশ্বর হয়ে ঝিনাই নদীতে গিয়ে পতিত হয়েছে।
মুত্তাছিম বিল্লাহ/এনএফ