জামায়াত নেতার ওপর হামলার অভিযোগ আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে

জামায়াত নেতার ওপর হামলার অভিযোগ আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে

গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিহত হন। এই হত্যার ঘটনায় আসামি ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করেছে—এমন অভিযোগে বাগেরহাটের মোল্লাহাটে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এবং তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা ও ‘রগ কেটে’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে।

গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিহত হন। এই হত্যার ঘটনায় আসামি ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করেছে—এমন অভিযোগে বাগেরহাটের মোল্লাহাটে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এবং তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা ও ‘রগ কেটে’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে।

গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের সিংগাতি এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরদিন মঙ্গলবার মোল্লাহাট থানায় মামলা দায়ের করেন হামলার শিকার চুনখোলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির দ্বীন ইসলাম চৌধুরী।

নিজ জেলা বাগেরহাটে নিরাপত্তাহীনতার কারণে আজ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গোপালগঞ্জ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তোলেন হামলার শিকার জামায়াত নেতা দ্বীন ইসলাম চৌধুরী ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী মনিরুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দিদার হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য জানিক চৌধুরী এবং তার চাচাতো ভাই আল আমিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদেরকে ধরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার অভিযোগ এনে ২৩ সেপ্টেম্বর চুনখোলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি দ্বীন ইসলাম চৌধুরী ও বিএনপি সমর্থক লিমন চৌধুরীর বাড়িঘর ভাঙচুর এবং পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারপিট করে গ্রেপ্তারকৃতদের স্বজনরা।

এ সময় এরশাদ চৌধুরী, মুরছালিন চৌধুরী, আজিজ চৌধুরী এবং তাইজুল চৌধুরীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে আওয়ামী লীগ নেতার স্বজনরা। এরমধ্যে পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয় মুরছালিন চৌধুরীর। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে আহত চারজন সংকটজনক অবস্থায় গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পর ২৪ সেপ্টেম্বর মোল্লাহাট থানায় মামলা হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবির পাশাপাশি নিজেদের নিরাপত্তারহীনতার কথাও তুলে ধরেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ফারুক আহমেদ বলেন, যে চারজন গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি হয়েছে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে মুরসালিন চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির পায়ের একটি রগ কাটা অবস্থায় ভর্তি করা হয়। তাদের চিকিৎসা চলমান রয়েছে।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মাহমুদুল হাসান রাজন/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *