জয়পুরহাটে সংঘর্ষে আহত আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

জয়পুরহাটে সংঘর্ষে আহত আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

জয়পুরহাটে গত ৪ আগস্ট আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে আহত আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান (৬৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে ঢাকার বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

জয়পুরহাটে গত ৪ আগস্ট আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে আহত আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান (৬৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে ঢাকার বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

জয়পুরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত মতিউর রহমান সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের জিতারপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। 

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ‘অসহযোগ আন্দোলন’ কর্মসূচি ঘিরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শহরের নতুনহাটে এসে জড়ো হন। বেলা ১১টার দিকে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বাটার মোড়ে আসেন। সেখানে আগে থেকে জড়ো হয়ে থাকা বিএনপির ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারী ছাত্রদের মিছিলে যোগ দেন। সেখান থেকে তারা মিছিলটি নিয়ে শহরের জিরো পয়েন্ট-পাঁচুরমোড় আসেন। এ সময় চিত্রারোড কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান করছিলেন। পুলিশ ওই সড়কে ব্যারিকেড দেন। এ সময় উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থায় নেওয়ায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

আন্দোলনকারীরা রেলগেট অতিক্রম করে লাইনের ওপর দিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে স্থানীয় সংসদ সদস্য (সাবেক) সামছুল আলম দুদুসহ আওয়ামী লীগের ১৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এতে আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান গুরুতর আহত হন।

দোগাছী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ৪ আগস্ট হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন মতিউর রহমান। সেখান থেকে তাকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা গেছেন। বাদ মাগবির জিতারপুর ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর নিহত হয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে শিক্ষার্থী নজিবুল সরকার বিশাল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার বাড়ি পাঁচবিবির রতনপুর গ্রামে। এছাড়া হামলার শিকার হয়ে ওইদিন জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রফিকুজ্জামান রহিম মারা গেছেন। তিনি জেলা শহরের শেখপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। এছাড়াও একই দিন হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ঘটনার ১৫ দিন পর মতিউর রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আর শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর গত ৫ আগস্ট বিকেলে থানা আক্রমণের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মেহেদী হোসেন নামে এক অটোরিকশা চালক মারা যান। তিনি জেলা শহরের শেখপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।

চম্পক কুমার/আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *