শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর বিক্ষুব্ধ জনতার আক্রমণের শিকার হয়েছে জয়পুরহাট সদর থানা। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে তারা থানায় হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এরপর পুলিশ শূন্য হয়ে পড়া এই থানার পাহারায় রয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর বিক্ষুব্ধ জনতার আক্রমণের শিকার হয়েছে জয়পুরহাট সদর থানা। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে তারা থানায় হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এরপর পুলিশ শূন্য হয়ে পড়া এই থানার পাহারায় রয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে আনন্দ মিছিলের এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা জয়পুরহাট থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ গুলি করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী গিয়ে সেখানে আটকে থাকা সব পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। আগুনে থানার বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। থানার হেফাজতে থাকা কিছু মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় লুটপাটও করা হয়।
সরেজমিনে মঙ্গলবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, আক্রমণের শিকার হওয়া থানার প্রধান গেট বন্ধ রয়েছে। পশ্চিম দিকে কিছুটা অংশ ভাঙা আছে। সেখান দিয়ে উৎসুক জনতা থানার ভেতর দেখছেন। কেউ আপসোস করছেন আবার কেউ সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। ভেতরে কোনো পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়নি। কয়েকজন শিক্ষার্থী থানা পাহারা দিচ্ছেন। কাউকে ভেতরে যেতে দিচ্ছেন না।
প্রধান গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় কথা হয় এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তিনি বলেন, থানায় কোনো পুলিশ সদস্য নেই। আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থী থানা পাহারা দিচ্ছি। কেউ যেন কোনো কিছু নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য আমরা রয়েছি। ভেতরে সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধ।
জয়পুরহাট থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, থানার অনেক মালামাল পুড়ে গেছে। অনেকেই অনেক কিছু লুট করে নিয়ে গেছে। সেনাবাহিনী আমাদের উদ্ধার করেছে। কোনো রকম প্রাণে বেঁচে গেছি, তবে বেশ আহত হয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবিরের মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি। এ কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চম্পক কুমার/এএমকে