জয়পুরহাটে ডাকাতির মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

জয়পুরহাটে ডাকাতির মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

জয়পুরহাট সদরের ভাদসা এলাকায় এক যুগ আগে ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একটি ধারায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আরেকটি ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ মামলায় তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জয়পুরহাট সদরের ভাদসা এলাকায় এক যুগ আগে ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একটি ধারায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আরেকটি ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ মামলায় তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন– জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার দাসরাখাঁপাড়ার বাসিন্দা মো. ফজলু, একই গ্রামের মো. তাজেল, সদরের পুরানাপৈল বাজার এলাকার মুকুল হোসেন, সদরের কোচনাপুরের আনোয়ার হোসেন ও হামছায়াপুর এলাকার মিঠুন হোসেন। এদের মধ্যে ফজলু, আনোয়ার ও মিঠুনকে পলাতক রয়েছেন।

আদালত ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে সদরের ভাদসা এলাকার গোলাম মাহমুদ মন্ডলের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল তার স্ত্রী জেবু আরা তাসলিমাকে মারধর করে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার সময় গোলাম মাহমুদের ছেলে-মেয়েকে বেঁধে রাখা হয়। পরে ডাকাত দল স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গোলাম মাহমুদ বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন ৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।

এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) খায়রুল বাশার। তিনি তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালে এক নম্বর আসামি মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এরপর দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ আদালত মামলার ৩৯৫ ধরায় আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও দুই বছর কারাভোগ করতে হবে। একই মামলার ৩৯৭ ধারায় তাদের আরও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদের এ সাজা একইসঙ্গে চলবে।

চম্পক কুমার/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *