জঞ্জাল দূর করতে ইউনূস সরকারকে শর্তহীন সমর্থন দিতে হবে

জঞ্জাল দূর করতে ইউনূস সরকারকে শর্তহীন সমর্থন দিতে হবে

আলিয়া মাদরাসা শিক্ষকদের অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেছিনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, দেশ একটা দুঃশাসন থেকে মাত্র মুক্ত হয়ে সুশাসনের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। এর মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্র চলছে। এই সরকারের সামনে ১৬ বছরের জঞ্জাল সরানোর চ্যালেঞ্জ। তাই মাদ্রাসা শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এই সরকারকে শর্তহীন সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে যেতে হবে।

আলিয়া মাদরাসা শিক্ষকদের অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেছিনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, দেশ একটা দুঃশাসন থেকে মাত্র মুক্ত হয়ে সুশাসনের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। এর মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্র চলছে। এই সরকারের সামনে ১৬ বছরের জঞ্জাল সরানোর চ্যালেঞ্জ। তাই মাদ্রাসা শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এই সরকারকে শর্তহীন সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে যেতে হবে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীতে গাউসুল আজম কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেছিনের নির্বাহী কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারীদের রূহের মাগফিরাত ও অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা কামনায় দোয়া করা হয়। 

সভাপতির বক্তব্যে দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক বাহাউদ্দীন বলেন, এই সরকারের কোনো রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ নেই। তাদের রাষ্ট্র গঠনে এক বছরও লাগতে পারে, এর বেশিও লাগতে পারে। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে ভয়াবহ অবস্থা। এটা পরিচ্ছন্ন করতে সময় লাগবে। এই সময়টুকু তাদেরকে দিতে হবে।

তিনি বলেন, মাদরাসার ছাত্র- কত হলো, কতো আয় হলো সেদিকে খেয়াল না করে, মাদ্রাসা শিক্ষার গুণগত মানের দিকে নজর দিতে হবে। কতজন সঠিক লোক তৈরি হলো, কতজন নাহিদ ও আসিফ তৈরি করতে পেরেছেন সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। মাদরাসা থেকে নাহিদ-আসিফের মতো সূর্যসন্তান তৈরি করতে হবে। ঘুষ, দুর্নীতি, মাদকসহ নানাবিধ অপরাধে সমাজ যে ছেয়ে গেছে সেখান থেকে অপরাধমুক্ত সমাজ, শিক্ষা ব্যবস্থা ও মানুষ তৈরি করতে হবে।

বাহাউদ্দীন আরও বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ইউরোপ-আমেরিকাসহ সারা দুনিয়াতে উদাহরণ হয়ে গেছে। দুঃখজনক হলো আমাদের আলেমদের এখানে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল অনেক কম। আমাদের কিছু লোকজন শুধু বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, চাকরির নিশ্চয়তা এগুলোর পেছনে ছুটোছুটি করছেন।

ড. ইউনূস সাহেবও ছোটবেলায় মাদরাসায় পড়াশুনা করেছেন জানিয়ে বাহাউদ্দীন বলেন, উনার নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ, সেনাবাহিনীতে যারা আছে সকলেই ইসলাম প্রিয়। লেবাসে আমরা যাতে বিভ্রান্ত না হই। এর আগে অনেকে বড় বড় লেবাসধারী ছিল, রামকৃষ্ণ মিশনে পড়াশুনা করেছেন বলে নওফেল গর্ব করে বলেছেন। তার পেছনে গিয়ে মাদরাসা বোর্ড, আরবি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বোর্ডের সদস্য হওয়ার জন্য ফতোয়া দিয়েছেন অনেকে যে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। উৎসব সবার হতে যাবে কেন? যার যার ধর্মীয় উৎসব তারা তারা পালন করবেন। এ ধরণের ফতোয়া যারা দিয়েছেন তাদের পেছনে কোনো ঈমানদার থাকতে পারে না।

জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর পরিচালনায় দোয়া পরিচালনা করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা কবি রুহুল আমীন খান। বক্তব্য রাখেন- ছারছীনা দারুসছুন্নাহ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমীন আফসারী, ঝালকাঠী নেছারাবাদ দরবার শরীফের পীর সাহেব মাওলানা মো. খলিলুর রহমান নেছারাবাদী, মৌকারা কামিল মাদরাসার প্রভাষক পীরজাদা শাহ নেছার উদ্দিন ওয়ালিহী, মদীনাতুল উলুম ইসলামি মিশন বালক কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকসহ অনেকে।

এনএম/এমএসএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *