রাজধানীর পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শেখ মো. সাকিব রায়হান হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির পল্লবী থানা পুলিশ।
রাজধানীর পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শেখ মো. সাকিব রায়হান হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির পল্লবী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আওয়ামী লীগের পল্লবী থানার ২ নং ওয়ার্ড সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন, পল্লবী ই-ব্লক ইউনিট সভাপতি ইসমাইল হোসেন জাবেদ, পল্লবী ডি-ব্লক ইউনিট সভাপতি মো. ইফতেখারুল চৌধুরী চমন ও পল্লবী সি-ব্লক ইউনিট সাধারণ সম্পাদক মো. লাল মিয়া মল্লিক।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে পল্লবী থানার মুসলিম বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুর-৬ এলাকায় ভিকটিম মো. সাকিব রায়হান হত্যার ঘটনায় গত ৩ অক্টোবর পল্লবী থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে মিরপুর-৬ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সামনের রাস্তায় আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে নির্বিচার গুলিবর্ষণ ও এলোপাথাড়ি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে মো. সাকিব রায়হান বুকে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রুজু করা মামলাটি তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সাকিব রায়হান হত্যায় জড়িত অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন, ইসমাইল হোসেন জাবেদ, মো. ইফতেখারুল চৌধুরী চমন ও মো. লাল মিয়া মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এমএসি/জেডএস