ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকসহ ছাত্রলীগের ১৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন রেজাউল হক বাচ্চু নামের এক ব্যবসায়ী।

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকসহ ছাত্রলীগের ১৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন রেজাউল হক বাচ্চু নামের এক ব্যবসায়ী।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পটুয়াখালী সদর থানাকে এজাহার নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হচ্ছেন– জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান সিকদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ফারুক ভুইয়া, ছাত্রলীগ নেতা সাকিব, মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেব, গোলাম মোস্তফা, সমীর চন্দ্র সাহা, সোহেল, কামাল হোসেন, জুয়েল, সজীব সানি, মেহেদী হাসান, পলাশ, শামীম আহমেদ মৃধা, এনামুল হক বাবু, নাজমুল হাসান মুন্না, কিরণ শীল, আরিফুর রহমান, তুহিন মুন্সী, শহিদুল ইসলাম, মিঠুন ও জলিল তালুকদার। তারা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

মামলা বাদী রেজাউল হক বাচ্চু বলেন, ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে রশ্নি ইলেকট্রনিক্সে এসে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দোকানের ম্যানেজার চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা হামলা-ভাঙচুর করে। এসময় তারা দোকানে থাকা টিভি-ফ্রিজ ভাঙচুর করে এবং ম্যানেজারের কাছ থেকে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। সর্বসাকুল্যে আসামিরা আমার প্রতিষ্ঠানের মোট ২৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায় এবং ক্ষতিসাধন করে।

এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ হোসেন বলেন, আমার মক্কেল রেজাউল হক বাচ্চুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রশ্নি ইলেকট্রনিক্সে ২০১৮ সালে তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮ জন এবং অজ্ঞাত ১৫-২০ জন চাঁদাবাজি, হামলা ও লুটপাট করেন। ঘটনার পর সদর থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশে আমার মক্কেল এ ঘটনার বিচারের দাবিতে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। আদালত পটুয়াখালী সদর থানাকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মো. রায়হান/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *