চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেছেন, ছাত্ররা অবশ্যই রাজনীতি করবে কিন্তু সেই রাজনীতি হতে হবে ছাত্রদের একাডেমিক স্বার্থকেন্দ্রিক। সেটা জামায়াত, বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগের দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি হবে না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেছেন, ছাত্ররা অবশ্যই রাজনীতি করবে কিন্তু সেই রাজনীতি হতে হবে ছাত্রদের একাডেমিক স্বার্থকেন্দ্রিক। সেটা জামায়াত, বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগের দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি হবে না।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় চবি উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে চবি সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
চবি উপাচার্য বলেন, সারা পৃথিবীতে লাখো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে কিন্তু কোথাও কি দেখাতে পারবেন সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে? একজন ছাত্র শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিতে আসছে আর তাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে। এমন ঘটনা কী কোথাও ঘটেছে? তার মানে কী সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নেই? সেখানে অবশ্যই ছাত্ররাজনীতি আছে। এমআইটি, হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড, কেমব্রিজসহ বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংগঠন আছে, শিক্ষকদের সংগঠন আছে। তারা একাডেমিক স্বার্থে রাজনীতি করে। ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করে।
চবি উপাচার্য আরও বলেন, আমি ৪০ বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি কিন্তু কখনো জামায়াত জিন্দাবাদ, বিএনপি জিন্দাবাদ এবং আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ বলিনি কিন্তু অনেকেই এ কথা বলেছেন।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘আমার বই নেই কেন? জবাব চাই জবাব চাই’-এই স্লোগান তো কখনো শুনিনি, ‘আমার পরীক্ষা সময়মতো হয়নি কেন? জবাব চাই জবাব চাই’ এই স্লোগানও তো শুনিনি। ২০১০ সালে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হলো কিন্তু কোনো ছাত্রসংগঠন কি এ বিষয়ের উপর সেমিনার বা সিম্পোজিয়াম করেছে? করেনি। সুতরাং আমি মনে করি শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় একাডেমিক স্বার্থে রাজনীতি করবে।
মতবিনিময় সভায় চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজহার, সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামানসহ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আতিকুর রহমান/এমজেইউ