ম্যাচ জিততে ভারতের খুব একটা বেগ পাওয়ার কথা ছিল না। বাংলাদেশের সামনে ৫১৫ রানের টার্গেট। স্কোরবোর্ডে তখন ২০৯ রানে ৬ উইকেট। চেন্নাই টেস্টে ভারতের দরকার ৪ উইকেট। তবু কী ভেবে যেন বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিতে অ্যাশেজে স্টুয়ার্ট ব্রডের করা পুরাতন কৌশল বেছে নিলেন রোহিত শর্মা। তাতে কিছুটা কাজও হয়েছে ভারতের জন্য।
ম্যাচ জিততে ভারতের খুব একটা বেগ পাওয়ার কথা ছিল না। বাংলাদেশের সামনে ৫১৫ রানের টার্গেট। স্কোরবোর্ডে তখন ২০৯ রানে ৬ উইকেট। চেন্নাই টেস্টে ভারতের দরকার ৪ উইকেট। তবু কী ভেবে যেন বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিতে অ্যাশেজে স্টুয়ার্ট ব্রডের করা পুরাতন কৌশল বেছে নিলেন রোহিত শর্মা। তাতে কিছুটা কাজও হয়েছে ভারতের জন্য।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের ৫৬তম ওভারের শেষে প্রান্ত বদল করার সময় স্টাম্পের উপরে রাখা বেলদুটির একটিকে অপরটির সঙ্গে বদলে দেন। পরে স্লিপ পজিশনে ফিল্ডিং করতে দাঁড়িয়েও অনেকটা ছেলেমানুষি স্বভাবেই স্ট্যাম্পে দিকে মজার ছলে মন্ত্র ছুঁড়ে দিয়েছিলেন রোহিত।
অবশ্য ম্যাচে যে এর প্রভাব ছিল না, তা সবাই জানেন। যদিও এরপরের কাণ্ডটাও ঠিক বাংলাদেশের পক্ষে গেছে তা বলা চলে না। ১ ওভার পরেই মিরাজ আউট হন। বাংলাদেশের ইনিংসেও নামে ধস। ২২২ রানে ৬ উইকেট থেকে ২৩৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। কে জানে, রোহিতের সেই কাণ্ডেই মনোযোগ সরে গিয়েছিল হয়ত বাংলাদেশের ব্যাটারদের।
এর আগে চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের অ্যাশেজে বেল বদলে চমক দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রড। শেষ অ্যাশেজটা অনেক কারণেই ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিল। বৃষ্টিতে ইংল্যান্ডের স্বপ্ন পণ্ড হওয়া, ২-০ তে পিছিয়ে পড়েও ইংল্যান্ডের ফেরা সবই ছিল। তবে সবচেয়ে আলাদাভাবে মনে থাকবে স্টুয়ার্ট ব্রডের কথা। অ্যাশেজের মঞ্চ থেকেই যে বর্ণিল ক্যারিয়ারটা শেষ করেছিলেন।
অ্যাশেজ সিরিজের ওভাল টেস্টের মার্নাস ল্যাবুশানকে বিরক্ত করতে স্টুয়ার্ট ব্রড এমনই কাণ্ড ঘটান। ব্রড স্টাম্পের সামনে গিয়ে দু’টি বেলের একটিকে অন্যটির সঙ্গে বদলে দেন। মার্ক উডের ঠিক পরের বলেই স্লিপে জো রুটের হাতে ধরা পড়ে যান ল্যাবুশান।
শেষ টেস্টে অজিদের দুই উইকেট যখন পাওয়া ছিল দুষ্কর। তখনই মনস্তাত্ত্বিক খেলা শুরু করেছিলেন ব্রড। বোলিং করতে যাওয়ার আগে বদলে দিয়েছিলেন বেল। এরপরেই উইকেটের দেখা পান তিনি। খানিক পর আবার বেল-কাণ্ড। এবারে ম্যাচটাই জিতিয়ে দেন ইংল্যান্ডকে।
২০২৩ সালে সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বিরাট কোহলি ঠিক একই কাণ্ড ঘটান। ডিন এলগারের সঙ্গে জমাট জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শক্ত ভিতে বসিয়ে দিয়েছিলেন টনি ডি’জর্জি। ব্যাটারদের মনোসংযোগে চিড় ধরাতে বিরাট কোহলিকে দেখা যায় স্টাম্পের কাছে এসে দুটি বেলের একটিকে অন্যটির সঙ্গে বদলে দিতে।
মজার ব্যাপার, এবারেও কাজে দিয়েছিল বেল বদল। ঠিক পরেই জসপ্রীত বুমরাহর বলে যশস্বী জসওয়ালের হাতে ধরা পড়েন টনি। জুটি ভাঙে দক্ষিণ আফ্রিকার। রোহিতের বেলায় একেবারে সঙ্গে সঙ্গে কাজ না হলেও, খানিক পরে ঠিকই উইকেটের দেখা পায় ভারত।
জেএ