দিনের শুরুটা ছিল হাসান মাহমুদের। মাঝে তাতে বাংলাদেশের জন্য আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছিলেন নাহিদ রানা আর মেহেদি হাসান মিরাজ। ১৪৪ রানে ৬ উইকেট তুলে নেওয়ার পর চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিনটা একান্তই নিজেদের করে নিতে পারত বাংলাদেশ। এরপর ধীরে ধীরে সেই ম্যাচ হাত থেকে ফসকে যেতে যেতে হয়েছে বেশকিছু রেকর্ড। যেখানে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশি ক্রিকেটারেরই নাম রয়েছে।
দিনের শুরুটা ছিল হাসান মাহমুদের। মাঝে তাতে বাংলাদেশের জন্য আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছিলেন নাহিদ রানা আর মেহেদি হাসান মিরাজ। ১৪৪ রানে ৬ উইকেট তুলে নেওয়ার পর চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিনটা একান্তই নিজেদের করে নিতে পারত বাংলাদেশ। এরপর ধীরে ধীরে সেই ম্যাচ হাত থেকে ফসকে যেতে যেতে হয়েছে বেশকিছু রেকর্ড। যেখানে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশি ক্রিকেটারেরই নাম রয়েছে।
টাইগার বোলারদের হাসি থামিয়ে চেন্নাইয়ের ঘরের ছেলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন যেন ছিলেন ভিন্ন কিছুর পরিকল্পনায়। এই যাত্রায় সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন দীর্ঘদিনের বন্ধু রবীন্দ্র জাদেজাকে। দুজনে মিলে তৃতীয় সেশনে ম্যাচ নিয়ে গেলেন বাংলাদেশের আয়ত্বের বাইরে। দুই সেশনে আধিপত্য দেখালেও দিনশেষে বাংলাদেশের কপালে তাই চিন্তার ভাঁজ।
এদিন ভারতীয় টপ অর্ডারের প্রথম পাঁচজনের মধ্যে চারজনকেই ফিরিয়েছেন পেসার হাসান। আর এর মধ্য দিয়ে তিনি সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা ডেইল স্টেইনের একটি রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। ভারতের মাটিতে ২০০০ সালের পর প্রথম কোনো পেসার হিসেবে টেস্টের প্রথম দিনে চার উইকেট শিকার করেছিলেন স্টেইন। চেন্নাইয়ে তার সমান চার উইকেট নেওয়া হাসানের আজ বোলিং ফিগার ছিল ৫৮/৪। তিনি রোহিত শর্মা (৬), শুভমান গিল (০), বিরাট কোহলি (৬), ও ঋষভ পান্তকে (৩৯) ফিরিয়েছেন।
তবে স্টেইনের আরেকটি রেকর্ড অক্ষত থেকে গেছে এখনও। ২০০৮ সালে ভারতের বিপক্ষে আহমেদাবাদ টেস্টে মাত্র ২৩ রানেই ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ফলে স্বাগতিকরা প্রথম ইনিংসে মাত্র ৭৬ রানেই গুটিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সেই ম্যাচ জিতে ইনিংস এবং ৯০ রানের ব্যবধানে। হাসান মাহমুদের সামনে স্টেইনের সেই রেকর্ডটি ভেঙে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে আগামীকাল।
এরপর চেন্নাইয়ে শেষ বিকেলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন অশ্বিন। অপরাজিত আছেন ১০২ রানে। জাদেজার ব্যাটে এসেছে ৮৬ রান। দুজনের পার্টনারশিপ ১৯৫ রানের, তাতে রেকর্ডও হয়ে গেছে। আর এমন রেকর্ডগড়া জুটি প্রথম দিন শেষে ভারতকে এনে দিয়েছে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান। ম্যারাথন ইনিংস আর সেঞ্চুরির পথে রেকর্ডের খাতাটাও সমৃদ্ধ হয়েছে নতুন করে।
ভারতের ক্রিকেটে ঘরের মাঠে ৭ম ইনিংস বা এর নিচে জুটি গড়ে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় উঠে এসেছে অশ্বিন-জাদেজার নাম। এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে জুটি বেঁধে ৫০০ রান করেছেন দুজনে। তাদের ওপরে আছেন ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জেতা দলের দুই সদস্য কপিল দেব ও সৈয়দ কিরমানি।
ঘরের মাঠে ৭ম উইকেট বা এর নিচে কপিল-কিরমানি জুটি করেছে ৬১৭ রান। সেটাও হয়েছে ১৪ ম্যাচে। আর অশ্বিন-জাদেজা আজ পেছনে ফেলেছেন আরও দুই ভারতীয় গ্রেট ভিভিএস লক্ষ্মণ ও মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। ধোনি ও লক্ষ্মণ ঘরের মাঠে ৭ম উইকেট জুটি বা এর নিচে ব্যাটিংয়ে নেমে করেছেন ৪৮৬ রান।
এ ছাড়া ২০২১ সালের পর থেকে ভারত এ নিয়ে ৯ম বার ৭ম উইকেট বা এর নিচে শতরানের পার্টনারশিপ পেয়েছে। যা টেস্ট খেলুড়ে অন্য দেশের তুলনায় অনেকটাই বেশি। দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশের ৬ বারের শতরানের পার্টনারশিপ।
অশ্বিন এদিন শতক পেয়েছেন ১০৮ রানে। যা তার ক্যারিয়ারের দ্রুততম সেঞ্চুরি। জাদেজাকে নিয়ে ১৯৫ রানে জুটি ৭ম উইকেটে ভারতের হয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের রেকর্ড।
ভারতের হয়ে ৭ বা এর নিচে নেমে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকাতেও দুইয়ে উঠে এসেছেন অশ্বিন। ক্যারিয়ারে ৬ সেঞ্চুরি করা অশ্বিন ৭ বা এর নিচে নেমে সেঞ্চুরি করেছেন ৪ বার। কপিল দেবের সেঞ্চুরি ছিল ৭টি। আর অশ্বিনের সমান ৪ সেঞ্চুরি আছে কেবল সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির।
জেএ/এএইচএস