ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা, শপথ বাক্য পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি হাজরাতলার মোড়, গোরস্থানের মোড়, আলীপুরের মোড়, সুপার মার্কেটের মোড়, জেনারেল হাসপাতালের মোড়, ব্রহ্মসমাজ সড়ক, ফরিদ শাহ সড়ক হয়ে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক শাহ মো. আরাফাত, জনি বিশ্বাস। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এ আন্দোলনে শুরু থেকে জড়িত আবরার নাদিম, মারুফা মিম, আলিফ বিন সাদিক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ আবারও স্বাধীন হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। আর তাই এই অর্জিত স্বাধীনতা কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বক্তারা বলেন, এ আন্দোলন করেছে দেশের ছাত্র সমাজ। তাই এ বিজয় কোনো রাজনৈতিক দলের দাবি করার সুযোগ নেই।
বক্তারা আরও বলেন, এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আমাদের ওপর অত্যাচার করেছে। নেতাকর্মীদের আহত করেছে, একের পর এক মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমাদের ৫৯ জন আন্দোলনকারীকে কারাগারে যেতে হয়েছে।
বক্তারা বলেন, নির্যাতন, নিপীড়ন, মামলা, জেল জুলমে আমরা বিচলিত হইনি। আমরা যে ফলাফল পেয়েছি তা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করতে শিখেছে।
বক্তারা রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য কলেজটিকে রাজনীতি মুক্ত ঘোষণা দেন। তারা বলেন এখন থেকে কোনো ছাত্র সংগঠন এই কলেজে আর রাজনীতি করতে পারবে না।
চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বানও জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বে সবাইকে শপথ বাক্য পাঠ করান মেহেরুন নিসা। অনুষ্ঠানের শেষে আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি তানভীর আহমেদ।
জহির হোসেন/এনএফ