পুরান ঢাকার লালকুঠি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করার সময় এক ব্যক্তিকে আটক করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে ক্যাম্পাসে ওই চাঁদাবাজকে নিয়ে আসা হলে তাকে ছাড়াতে আসেন স্থানীয় যুবদল নেতা পরিচয়ধারী হাসান নামে এক ব্যক্তি। পরে তাকেও আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় এ দুজনকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন তারা। এর আগে বিকাল সাড়ে ৫টায় লালকুঠি ঘাটে চাঁদাবাজরা সদরঘাট এলাকায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা ৭ জন কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। খবর পেয়ে জবি শিক্ষার্থীরা সদরঘাটে গিয়ে একজন চাঁদাবাজকে ধরে ক্যাম্পাসে তুলে নিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, সদরঘাটে শরবত বিক্রি করা দুই ভাই শিক্ষার্থীদের একজন চাঁদাবাজের খোঁজ দেয়। পরে তাকে তুলে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীকালে চাঁদাবাজকে ছাড়াতে আসেন আরেক ব্যক্তি। এরপর তাদের উভয়কে সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ ইমন বলেন, আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থীরা সদরঘাটে স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব পালন করেছিলাম। চাঁদাবাজি করতে দেখলে আমরা প্রতিবাদ করি। পরে আমাদের তারা ঘিরে ধরে, গালি দেয়। পরে দ্রুত আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ভাইদের চাঁদাবাজির ঘটনাটি বলি। তারা সদরঘাট গিয়ে একজন চাঁদাবাজকে ধরে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সোহান প্রামাণিক বলেন, আমাদের সমন্বয়কদের সিদ্ধান্তক্রমে কিছু শিক্ষার্থী সদরঘাটে স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করছিল। তাদের আটকে রেখেছিল কিছু চাঁদাবাজ। জানতে পেরে আমরা তাকে নিয়ে উদ্ধার করি। সঙ্গে একজন চাঁদাবাজকে ধরে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসি। চাঁদাবাজকে ছাড়াতে আসে আরেকজন ব্যক্তি। জিজ্ঞাসাবাদে সে চাঁদাবাজের পরিচিত বলে দাবি করে। পরে আবার অস্বীকার করে। পরবর্তীতে উভয়কে সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এমএল/এসকেডি