চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান : আহতদের চিকিৎসায় এবার এলো থাই চিকিৎসক দল

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান : আহতদের চিকিৎসায় এবার এলো থাই চিকিৎসক দল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আহতদের চিকিৎসা দিতে এবার বাংলাদেশে এসেছে থাইল্যান্ডের চিকিৎসক দল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আহতদের চিকিৎসা দিতে এবার বাংলাদেশে এসেছে থাইল্যান্ডের চিকিৎসক দল।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান নিটোর এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দেয় চিকিৎসক দলটি।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের অনেকেই এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহতদের বিনামূল্যে মেডিকেল পরামর্শ দেওয়ার জন্য ব্যাংককের ভেজথানি হাসপাতাল আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। সে অনুযায়ী হাসপাতালটি ৩ জন চিকিৎসকসহ মোট ৬ সদস্যের একটি টিম বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। তারা আজ দিনব্যাপী নিটোর এবং নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসারতদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছে।

বিদেশি চিকিৎসক দল প্রসঙ্গে নিটোর পরিচালক ডা. কাজী শামীম উজজামান বলেন, থাইল্যান্ড থেকে আসা চিকিৎসক দল আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসারত ৫৭ জন রোগীর প্রত্যেককেই দেখেছেন। চিকিৎসক দল আহতদের মধ্যে ১৫ জন গুরুতর রোগীর স্নায়ু এবং জয়েন্টের আঘাতের ওপর বিশেষ মনোযোগ দেন। নার্ভের আঘাতের রোগীর জন্য তাদের পরিকল্পনা হলো অপেক্ষা করা এবং তদন্তের মাধ্যমে ৪ সপ্তাহের ব্যবধানে পর্যবেক্ষণ করা।

তিনি বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টের ওপর নির্ভর করে পরবর্তী অস্ত্রোপচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাকি রোগীদের সম্পর্কে তারা আমাদের চলমান চিকিৎসা প্রোটোকলের সঙ্গে একমত।

নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের যুগ্ম-পরিচালক ডা. মো. বদরুল আলম বলেন, থাইল্যান্ড থেকে আগত চিকিৎসক দল আমাদের এখানে ৭ জন গুরুতর আহত রোগীকে দেখেছেন। চিকিৎসকদল বলেছেন, আগামীকাল তারা প্রত্যেক রোগীর প্রতিবেদন দেবেন। এছাড়া সামগ্রিকভাবে তারা আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট।

টিআই/এসএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *