মাগুরায় ছাত্র আন্দোলনে নিহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন (২৫) হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর এবং বীরেন শিকদারের নামে মামলা হয়েছে।
মাগুরায় ছাত্র আন্দোলনে নিহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন (২৫) হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর এবং বীরেন শিকদারের নামে মামলা হয়েছে।
নিহত শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেনের পরিবারের কেউ মামলা করতে রাজি না হওয়ায় মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের উত্তর বীরপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন বাদি হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। তবে মামলা সম্পর্কে নিহতের পরিবারের কারও সঙ্গে বাদির কোনো কথা হয়নি বলেও পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
মাগুরা সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে রেকর্ডভুক্ত মামলাটিতে মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর এবং মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীরেন শিকদার ছাড়াও সুনির্দিষ্ট ৬৭ জন এবং অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফরহাদ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সে প্রথম থেকেই অংশ নিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলে সে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে। পরে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের আহ্বানে গত ৪ আগস্ট ফরহাদ আরও কয়েক বন্ধুকে নিয়ে মাগুরা শহরে মিছিলে অংশ নেয়। দুপুরের পর তারা মিছিলটি নিয়ে শহরের পারনান্দুয়ালী ব্রিজের ওপর পৌঁছলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয় ফরহাদ। পরে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে নিহত ফরহাদের বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমার ভাই মারা গেছে। মামলা দায়েরের পর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হোক—এটি চাই না বলেই মামলার প্রতি আমাদের আগ্রহ নেই। কিন্তু ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হলেও মামলাটির বাদির সঙ্গে আমাদের কোনো কথা হয়নি। তাকে চিনিও না।
মামলার বিষয়ে বাদি জামাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেহেদি রাসেল বলেন, মামলাটির বাদি নিহতের পরিবারের কেউ না হলেও তারা একই সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন এবং সেখানে আসামিদের ছোড়া ককটেলে সে পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
তাছিন জামান/এএমকে