চট্টগ্রামে মেয়রের বাসায় হামলা : সড়কবাতি বন্ধ করে গুলি, নিহত ১

চট্টগ্রামে মেয়রের বাসায় হামলা : সড়কবাতি বন্ধ করে গুলি, নিহত ১

চট্টগ্রামে সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রামে সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় মেয়রের বাড়ির পাশে থাকা বহদ্দারহাট-নতুন চান্দগাঁও সড়কের বাতি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। এর মধ্যে মো. শহীদ (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত শহীদ মুদি দোকানদার। ধারণা করা হচ্ছে— গোলাগুলির মাঝখানে পরে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির। 

ঘটনার পরপরই বাড়ির নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

বহদ্দারহাট এলাকার এক দোকানি জানান, শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বহদ্দারহাট থেকে একটি মিছিল এসে মেয়রের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে গোলাগুলি শুরু হয়। এ সময় সড়কের বাতি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এদিকে, বহদ্দারহাট এলাকায় গুলিবিদ্ধ ৮ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পুলিশ তাদের ভর্তিতে বাধা এবং গ্রেপ্তার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে বিক্ষোভকারীদের একটি দল চমেক হাসপাতালে জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে চট্টগ্রামের নিউমার্কেট মোড়ে শনিবার দুপুর থেকে সমাবেশ শুরু হয়। এতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে। সমাবেশ শেষে বিকেল ৫টার দিকে একটি মিছিল জুবলি রোড হয়ে চলে যায়। মিছিল থেকে কয়েকটি ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়। মিছিলটির একটি অংশ ওয়াসা, জিইসি, ২ নম্বর গেট ও মুরাদপুর মোড় হয়ে বহদ্দারহাট চলে যায়। এ সময় চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরের পাঁচলাইশ থানার চশমাহিল এলাকায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তরা মন্ত্রীর বাড়ির নিচে থাকা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপর সোয়া ৭টার দিকে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। 

শিক্ষামন্ত্রী নওফেল ও মেয়র রেজাউলের বাড়িতে হামলার পরপর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরের বাদশা মিয়া সড়কে মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের বাসায় হামলা করে। একই দিন রাত ৯টার দিকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদের বাসভবনেও হামলার ঘটনা ঘটে।

এমআর/এমজে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *