চট্টগ্রামে আবারও আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা, শেখ হাসিনার বিচার দাবি

চট্টগ্রামে আবারও আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা, শেখ হাসিনার বিচার দাবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি সপ্তাহব্যাপী রেজিস্ট্যান্স উইকের প্রথম দিনে চট্টগ্রামে মাঠে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি সপ্তাহব্যাপী রেজিস্ট্যান্স উইকের প্রথম দিনে চট্টগ্রামে মাঠে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে শিক্ষার্থীরা নগরের ষোলশহর থেকে বহদ্দারহাট এলাকায় তারা মিছিল-সমাবেশ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা দেশ ছেড়ে ভারতে অবস্থান করা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।

বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে শেখ হাসিনা এবং তার দল ও সরকার‍ যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানান। গণঅভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয় এতে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় শিক্ষার্থীরা ষোলশহর স্টেশনে জড়ো হন। সেখানে তারা সমাবেশ করেন। এরপর মিছিল নিয়ে মুরাদপুর মোড়ে যান শিক্ষার্থীরা। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান শেষে একটি অংশ মিছিল নিয়ে বহদ্দারহাট মোড়ে যান। আরেকটি অংশ শুলকবহর এলাকায় অবস্থান নেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যেসব পয়েন্টে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বক্তব্যে চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, আমরা বাংলাদেশি। আমাদের আন্দোলনে আমার হিন্দু বন্ধুরা এসেছে, মুসলিম বন্ধুরা এসেছে, খ্রিষ্টান বন্ধুরা এসেছে এবং প্রত্যেক ধর্ম, বর্ণ, জাতি, গুষ্টি নির্বিশেষে সবাই এসেছে। যারা মন্দিরে হামলার চেষ্টা করেছে তাদের আমরা প্রতিরোধ করব। আমরা ঢাল হয়ে দাঁড়াব। আমাদের পরিচয় একটা, এখানে কোনো সংখ্যালঘু থাকবে না, এখানে সবার পরিচয় মানুষ।

কেউ চাঁদাবাজি করতে চাইলে তাদের প্রতিহত করা হবে জানিয়ে রাফি বলেন, এটা সাধারণ শিক্ষার্থী আর সাধারণ মানুষের আন্দোলন, বিজয়ও তাদের। আমি যেমন, আপনিও তেমন। এখানে আলাদা কিছু নেই, আলাদা কোনো পদ নেই। যখন আমরা মাঠে নামব, এখানে আমরা সবাই এক। যদি কেউ সমন্বয়কের নামেও যদি চাঁদাবাজি করে, ওদের প্রতিহত করবেন। কাউকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেবেন না। কোনো বৈষম্যের জায়গা বাংলাদেশে হবে না। কোনো অন্যায়ের জায়গা বাংলাদেশে হবে না।

বীর জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানিয়ে চট্টগ্রামের এই অন্যতম সমন্বয়ক বলেন, ফ্যাসিবাদকে কেউ প্রশ্রয় দেবেন না। যদি কেউ প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করে, গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে, আপনারা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করবেন। যেকোনো মূল্যে আমাদের ভাইদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না, আমরা সবাই সোচ্চার থাকব। যদি কোনোভাবে কোনো সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে আমরা আমাদের শহীদ ভাইদের জবাব দিতে পারব না। যারা রক্ত দিয়ে গেছে তাদের জবাব দিতে পারব না। সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে, আপনি আপনার আশেপাশের সবাইকে সোচ্চার রাখবেন, যদি আবার ডাক আসে আবর রাজপথে নামব।

এমআর/পিএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *