ঘুমাতে পারেন না, প্রতিরাতে বাবা সিদ্দিকির ছেলেকে ফোন দেন সালমান

ঘুমাতে পারেন না, প্রতিরাতে বাবা সিদ্দিকির ছেলেকে ফোন দেন সালমান

চলতি মাসেই গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের হাতে খুন হয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। দশেরার সন্ধ্যায় বিধায়ক ছেলে জিশান সিদ্দিকির দফতরের বাইরে দাঁড়িয়ে বাজি ফাটাচ্ছিলেন তিনি। এসময়ই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। 

চলতি মাসেই গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের হাতে খুন হয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। দশেরার সন্ধ্যায় বিধায়ক ছেলে জিশান সিদ্দিকির দফতরের বাইরে দাঁড়িয়ে বাজি ফাটাচ্ছিলেন তিনি। এসময়ই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। 

সূত্রের খবর, বাইকে করে তিনজন দুষ্কৃতী এসে খুব কাছ থেকে আচমকা সিদ্দিকীর উপর গুলি চালায়। দু’টি গুলি পেটে এবং অন্যটি বুকে লাগে প্রাক্তন মন্ত্রীর। তৎক্ষণাৎ মাটিতে পড়ে যান তিনি। এরপর গুরুতর অবস্থায় সাবেক এই মন্ত্রীকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। 

সিদ্দিকির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে বলিউডে। প্রাক্তন এই কংগ্রেস নেতার ছিল বলিউডের সঙ্গে সুসম্পর্ক। বিনোদন জগতের মানুষদের সঙ্গে ছিল তার নিত্য ওঠাবসা। বলিপাড়ার বহু তারকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল সিদ্দিকির। তাঁদের নানা সমস্যায় এগিয়ে যেতেন তিনি। 

অন্যদিকে, প্রতি বছর সিদ্দিকির বিখ্যাত ইফতার পার্টিতে ঢল নামত বলি-তারকাদের। টেলিপাড়ারও বহু তারকা হাজির থাকতেন এই পার্টিতে। ২০১৩-র এই ইফতার পার্টিতেই এমন একটি কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বাবা সিদ্দিকি, যার ফলে রাতারাতি আসমুদ্রহিমাচল ভারতের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। 

সিদ্দিকির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন সালমান খান এবং শাহরুখ খান। তাদের দুজনের দীর্ঘদিনের বিরোধ মিটিয়ে দেন তিনি। বুকে টেনেন নেন দু’জনকে। এরপর থেকেই বাবা সিদ্দিকির প্রতি খানদের ভালোবাসা আরও বেড়েছে। 

সাবেক এই মন্ত্রীকে খুনের পর হুমকি পাওয়া সত্ত্বেও ছুটে গেছেন সালমান খান। পাশে থেকেছেন বাবা সিদ্দিকির পরিবারের। 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকি জানান, প্রতি রাতে তাকে ফোন করেন সালমান। তার কথায়, ‘বাবার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন সালমান ভাই। প্রতি রাতে আমাকে ফোন করে খোঁজখবর নেন তিনি। কথা বলেন আমাদের সঙ্গে। 

জিশান আরও জানান, বাবার মৃত্যুর পর আজও সালমান খান ঠিক করে ঘুমাতে পারেন না। আমাদের গোটা পরিবারের পাশে ভাই দাঁড়িয়েছেন। আমরা জানি, তাকে আমাদের পাশে সবসময়ই পাব।

এনএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *