শিরোনাম পড়ে কিছুটা অবাক হতেই পারেন খেলার সচেতন পাঠকরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচ হারের পরেই ভারতকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়া চলে না। টেস্টে ঘরের মাঠে ভারত ঠিক কতটা শক্তিশালী হতে পারে, তার নমুনা যে কদিন আগেই দেখে এসেছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাস্তবতা আর পরিসংখ্যান বলছে, ঘরের মাঠে ২০১১ সালের পর থেকে ভারতের অসামান্য রেকর্ডের বুকে কিছুটা হলেও ফাটল ধরেছে।
শিরোনাম পড়ে কিছুটা অবাক হতেই পারেন খেলার সচেতন পাঠকরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচ হারের পরেই ভারতকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়া চলে না। টেস্টে ঘরের মাঠে ভারত ঠিক কতটা শক্তিশালী হতে পারে, তার নমুনা যে কদিন আগেই দেখে এসেছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাস্তবতা আর পরিসংখ্যান বলছে, ঘরের মাঠে ২০১১ সালের পর থেকে ভারতের অসামান্য রেকর্ডের বুকে কিছুটা হলেও ফাটল ধরেছে।
সাধারণ একটা তথ্যই ধরা যাক। চলতি শতাব্দী শুরুর পর থেকে অর্থাৎ গেল ২৪ বছরে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট হারা অধিনায়ক এখন রোহিত শর্মা। অবশ্য তালিকায় তিনি একা নন। ঘরের মাঠে তার সমান তিনটি করে টেস্ট হেরেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি আর মহেন্দ্র সিং ধোনিও।
সৌরভ গাঙ্গুলি – ২১ টেস্টে ৩ হার মহেন্দ্র সিং ধোনি – ৩০ ম্যাচে ৩ হার রোহিত শর্মা – ১৪ ম্যাচে ৩ হার
ভারতের অতি স্পিনবান্ধব ট্যাকটিস এবং এসজি বলের কারিকুরি অনেকটাই উন্মুক্ত প্রতিপক্ষের কাছে। গেল ৭ বছরে যেখানে ভারত ঘরের মাঠে ছেড়েছে মাত্র ২ টেস্ট। শেষ ১৮ মাসে সেখানে তাদের দেখতে হয়েছে ৩ হার। সংখ্যাটা ২০২৩ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি টেস্ট হারের নতুন কীর্তি।
বাংলাদেশ – ৩ হারপাকিস্তান – ৩ হারইংল্যান্ড – ৩ হারনিউজিল্যান্ড – ৩ হারভারত – ৩ হার
২০২০ সালের পর থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ টেস্টের ৪টিতেই হেরেছে ভারত। এমনকি বেঙ্গালুরুতেও ১৯ বছর পর (সবশেষ ২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে) হারতে হয়েছে তাদের।
ভারত অবশ্য এখান থেকে সহজেই ফিরে আসবে, এমনটা অনুমান করা যায়। সহসা টেস্ট সিরিজ হয়ত হারতে হচ্ছে না তাদের। কিন্তু দিনে দিনে ঘরের মাঠে ভারতের টেস্ট হার কিছুটা নিয়মিত হচ্ছে তা সত্য। ২০১০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ১০ বছরে ২ টেস্ট হারা দলটা শেষ ৪ বছরে হেরেছে ৪ টেস্ট। ভারতের দুর্গটা খানিক যে দুর্বল হচ্ছে, তা হয়ত অপ্রিয় হলেও মানতে হবে কিছুটা।
জেএ