গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বরিশাল নগরীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি’ বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে অনির্দিষ্টকালের ছুটি ঘোষণার নোটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা দিনভর উপাচার্য এনামুল হকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভের মুখে ডেপুটি রেজিস্ট্রারসহ সহযোগী কর্মচারীরা পালিয়ে যান।

বরিশাল নগরীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি’ বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে অনির্দিষ্টকালের ছুটি ঘোষণার নোটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা দিনভর উপাচার্য এনামুল হকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভের মুখে ডেপুটি রেজিস্ট্রারসহ সহযোগী কর্মচারীরা পালিয়ে যান।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ৮ দফা দাবি পেশ করেন। দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, উপাচার্যের পদত্যাগ, ডেপুটি রেজিস্ট্রার নেয়ামুলের বরখাস্ত ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মচারীদের শাস্তি।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কাজ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ল অ্যাসোসিয়েশনের রুমে শহীদ দেয়ালিকা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। কাজ শুরুর দুই মিনিটের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সহায়করা নারী শিক্ষার্থীদের হাতে টান দিয়ে বের করে দিয়ে বলে বন্ধের নোটিশ জারি হয়েছে, রুমে তালা দিতে হবে। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, কি এমন অনিবার্য কারণে ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক থাকার পরও প্রশাসন তালা দিয়ে চলে গেল? আরেক ভবনে আমাদের শিক্ষকদের আটকে রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের লোকজনকে কল দিলেও তারা ফোন ধরেননি।

হাসিবুর রহমান রাব্বি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, দুপুর ১২টার দিকে আকস্মিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেওয়া হয়। শিক্ষকরা তখন ক্লাস রুমে ছিল। এ সময় শিক্ষকদের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পালিয়ে গেছে। আমরা তালা ভেঙে শিক্ষকদের বের করেছি। আমাদের ভিসি স্যারকে কল দিচ্ছি তিনি রিসিভ করছেন না। কোনো প্রশাসন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে না। উল্টো তারা বলছে আমাদের ইউনিভার্সিটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই আন্দোলন করছি দ্রুত কার্যক্রম শুরুর জন্য। তাই আমাদের ৮ দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এসব বিষয়ে রেজিস্ট্রার একেএম এনায়েত হোসেন জানান, তারা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুটি গ্রুপ আছে। তাদের কারণে যেকোনো সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। এ আশঙ্কায় সাময়িকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক বা সরকার পতনের সংশ্লিষ্টতা নেই।

তিনি আরও জানান, উপাচার্য ঢাকায় আছেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দাবি ইতোমধ্যে মেনে নেওয়া হয়েছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজেইউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *