গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৬

গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৬

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মা-মেয়েসহ মোট ছয়জন নিহত হলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মা-মেয়েসহ মোট ছয়জন নিহত হলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।

রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার মাঝিগাতি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কাশিয়ানী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার রেজাউল মাওলা ও কাশিয়ানী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এখন পর্যন্ত নিহত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সামাদ আলী (৪০), সাকিবুর রহমান (৩৫), রহিজ শেখ (২৪), তানিয়া আফরোজ (২৮) ও তার মা তহুরা বেগম (৫৫)। এছাড়া নিহত বাকি একজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। নিহতরা সবাই বাসের যাত্রী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, সকালে বিকট আওয়াজ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখি ইমাদ পরিবহনের একটি বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। গিয়ে দেখি বাসের একপাশে দুমড়ে মুচড়ে গেছে। ডানপাশের পাঁচটি সিটে থাকা পাঁচজন যাত্রীই ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। বাকি যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর আহত হয়ে কাতরাচ্ছে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হতাহতদের উদ্ধার করে।

কাশিয়ানী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার রেজাউল মাওলা বলেন, সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার মাঝিগাতি এলাকায় ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের সঙ্গে বিপরীতগামী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে নারীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। পরে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছে নারীসহ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেন। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

কাশিয়ানী থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম মিয়া বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ছয়জনের নিহতের মধ্যে পাঁচজনের নাম শনাক্ত করতে পেরেছি। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *