ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। অভিনয় ক্যারিয়ার তেমন সমৃদ্ধ না হলেও নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে আলোচিত তিনি। বহুদিন ধরেই আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত এই নায়িকা।
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। অভিনয় ক্যারিয়ার তেমন সমৃদ্ধ না হলেও নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে আলোচিত তিনি। বহুদিন ধরেই আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত এই নায়িকা।
দলটির হয়ে বিভিন্ন সমাবেশ ও প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডে দেখা মিলত নিপুণের সরব উপস্থিতি। যদিও সরকার পতনের পর একপ্রকার গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। দেশে আছেন নাকি দেশের বাইরে চলে গেছেন, সেটাও নিশ্চিত নয়।
এরই মধ্যে শোনা গেল চমকপ্রদ এক খবর। ২০১৩ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বায়োপিক তৈরি করেছিলেন কিংবদন্তি গীতিকার-প্রযোজক ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
প্রায় ১১ বছর আগে নির্মিত ‘আপসহীন’ শিরোনামের সেই সিনেমায় খালেদা জিয়ার চরিত্রে গোপনে শুটিং করেণে নিপুণ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন করে সেই সিনেমা আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সিনেমাটির মুক্তি পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভিনেতা হেলাল খান। এ সিনেমায় জিয়াউর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে অভিনেতা জানিয়েছেন, সিনেমাটি মুক্তির ব্যাপারে অবশ্যই বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে একবার দেখা করতে চান।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম অসুস্থ। এই মুহূর্তে এটা নিয়ে কথা বলাটা ঠিক হবে না। তিনি সুস্থ হলেই ছবিটি নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করব। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে।’
এই সিনেমা প্রসঙ্গে পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে নিপুণ বলেছিলেন, একদিন গাজী মাজহারুল আনোয়ার আঙ্কেল আমার বাসায় আসেন। ছবিটির কথা জানালেন। তখন শাহ আলম কিরণ ভাইয়ের ‘৭১-এর মা জননী’ ছবির শুটিং চলছে। আমাকে আঙ্কেল বললেন, চলচ্চিত্রটি ম্যাডাম খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে। আমাকে তার চরিত্রেই রূপদান করতে হবে। জানতে চাইলেন, আমার আপত্তি আছে কিনা? জানালাম, অভিনেত্রী হিসেবে ম্যাডামের চরিত্রে অবশ্যই অভিনয় করা উচিত। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে রাজপথে সরব। আমি রাজি হওয়ায় আঙ্কেল খুব খুশি হলেন।
যদিও পরিচালক মাজহারুল আনোয়ার বর্তমানে বেঁচে নেই। তবে এই সিনেমা নিয়ে বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল বলে জানান তার ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপল।
তিনি বলেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবেও উদ্যোগ নিয়েছি বাবার সব সৃষ্টি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। বাবার নির্মিত শেষ চলচ্চিত্র এটি। দর্শক দেখলে বাবার আত্মা শান্তি পাবে।’
নির্মাতার ছেলে আরও বলেন, ‘এটা শুধু যে একটা চলচ্চিত্র তা কিন্তু নয়, একই সঙ্গে সফল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার বায়োপিক। দেখলে দর্শক জানতে পারবে দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসা, ত্যাগ ও মহিমার কথা।’
এনএইচ