ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ভুক্তভোগীদের বিস্তারিত তথ্য তদন্ত সংস্থা কর্তৃক রেকর্ড বা সংরক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পঙ্গু হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনে আহত প্রায় ৯শ রোগীর কাছাকাছি চিকিৎসা হয়েছে এখানে। আহতরা বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিয়ে এখান থেকে চলে গেছেন। পাঁচজন চিকিৎসারত অবস্থায় এখানে মারা যান। এই হাসপাতালে দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। এখানে ৬৮ জন চিকিৎসারত আছে। আমরা ভিকটিমদের সাথে কথা বলেছি ও তাদের বক্তব্য নিয়েছি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ভিকটিমদের বিস্তারিত তথ্য আমাদের তদন্ত সংস্থা আগামী দুই দিনের মধ্যে রেকর্ড বা সংরক্ষণ করবে।
তিনি আরও বলেন, আহতদের শরীরে যেসব বুলেট লেগেছিল, যেগুলো অপসারণ করা হয়েছে, সেগুলো দেখেছি। আন্দোলনকারীদের ওপর বিজিবি ও পুলিশ গুলি করেছে। সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা হচ্ছে যে, একজন গুলিবিদ্ধ আহতকে কোলে নিয়ে বসে থাকা অবস্থায়, ওই আহতের গলায় পাড়া দিয়ে গলার হাড় ভেঙে ফেলেছে এমন এমন ঘটনা জানতে পেরেছি।
বিদেশি ভাষায় কথা বলে ভিকটিমদের ওপর হামলা বিষয় উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ভিকটিমরা বলেছেন, বিদেশি ভাষা হিন্দিতে গালি দিয়েছে, কাছে এসে গুলি করেছে। ভিকটিমদের ওপর হামলা করেছে। ভিকটিমরা বলছে, বিদেশি সৈন্যবাহিনী তাদের উপর হামলা করেছে। আমরা এ সমস্ত তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছি। যথারীতি আইন অনুযায়ী বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা মামলার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি।
জেইউ/এনএফ