গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ : গুলিবিদ্ধ দুই শ্রমিক ঢামেকে

গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ : গুলিবিদ্ধ দুই শ্রমিক ঢামেকে

রাজধানীর মিরপুরের কাফরুলে বকেয়া বেতনের দাবিতে ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার নামে একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাদের শান্ত করতে এলে প্রথমে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে আত্মরক্ষায় পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে আল-আমিন (১৭) ও রুমা (১৫) নামে দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।

রাজধানীর মিরপুরের কাফরুলে বকেয়া বেতনের দাবিতে ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার নামে একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাদের শান্ত করতে এলে প্রথমে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে আত্মরক্ষায় পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে আল-আমিন (১৭) ও রুমা (১৫) নামে দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে তাদের ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

এ বিষয়ে গুলিবিদ্ধ আল-আমিনের বাবা আব্দুর রহমান বলেন, আমার ছেলে মিরপুর-১৪ এলাকার ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার গার্মেন্টসে পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। সকাল ৯টার দিকে তারা বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এ সময় পোশাক শ্রমিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে ও গুলিতে আমার ছেলে এবং রুমা নামে আরো এক পোশাক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মিরপুরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আল-আমিন ও রুমা নামের দুই পোশাক শ্রমিককে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে মিরপুর-১৪ নম্বরের কচুক্ষেত সড়কে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের শান্ত করতে এলে প্রথমে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন। আত্মরক্ষায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন শ্রমিকরা।

এসএএ/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *