গাজায় এক দিনে নিহত ৭৭, মোট নিহত ৪২ হাজার ছুঁইছুঁই

গাজায় এক দিনে নিহত ৭৭, মোট নিহত ৪২ হাজার ছুঁইছুঁই

ইসরায়েলি বাহিনীর এক বছর ধরে চলমান সামরিক অভিযানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪১ হাজার ৯০৯ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৭ জন।

ইসরায়েলি বাহিনীর এক বছর ধরে চলমান সামরিক অভিযানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪১ হাজার ৯০৯ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৭ জন।

এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৯৭ হাজার ৩০৩ জন। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ জন নিহত এবং ১৩৭ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪১ হাজার ৯০৯ জন এবং আহতের সংখ্যা ৯৭ হাজার ৩০৩ জনে পৌঁছালো।”

“তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ বহু মানুষ বিভন্ন ভবনের ধ্বংস্তূপের তলায় চাপা পড়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।”

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে হামলা চালিয়ে দেশটির ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামাস এবং তাদের মিত্র গোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) অন্তত এক হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা। সেখানে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০৫ জনকে হত্যা করে তারা। নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক। সেইসঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২৪২ জনকে ধরে নিয়ে যায় যোদ্ধারা। এই জিম্মিদেরও বড় অংশ বেসামরিক।

বস্তুত ১৯৪৭ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলা ছিল রাষ্ট্রটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। হামাসের সেই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধার করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। গত এক বছরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় এক লাখ।

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা করে আসছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে একটি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য উভয়পক্ষকে রাজি করাতে বিস্তর চেষ্টাও করা হয়েছে। কিন্তু হামাস এবং ইসরায়েল— কোনো পক্ষই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো মেনে চলতে সম্মত হয়নি।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

এসএমডব্লিউ

 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *