গাইবান্ধায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা, বিক্ষুব্ধ জনতার সড়ক অবরোধ

গাইবান্ধায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা, বিক্ষুব্ধ জনতার সড়ক অবরোধ

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ায় বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে বিরোধের জেরে শ্রীধাম নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ায় বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে বিরোধের জেরে শ্রীধাম নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় জনতা গাইবান্ধা-সাঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বোনারপাড়া বাজারের মাছের আড়তে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সাঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শ্রীধাম বোনারপাড়া ইউনিয়নের ছাটকালপানি মাঝিপাড়া গ্রামের শ্রী মোসারু বর্মনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বোনারপাড়া হাটের সাবেক ইজারাদার মিলন মিয়া ও রফিকুল ইসলাম তেলিয়ান মৌজার ছাটকালপানি মাঝিপাড়ার একটি বিল দখল করে সেখানে মাছ চাষ প্রকল্প পরিচালনা করেন। তারা মাঝিপাড়া মন্দির থেকে বৈদ্যুতিক সংযোগ নেন। তবে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরে মন্দির কমিটির উদ্যোগে সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়। সংযোগ পুনঃস্থাপনের পর মিলন মিয়া ও তার সহযোগীরা মন্দিরের বৈদ্যুতিক মিটার থেকে তাদের মাছ চাষ প্রকল্পের জন্য সংযোগ নিতে চাইলে মন্দির কমিটির সদস্য ও মাছ ব্যবসায়ী শ্রীধাম এতে বাধা দেন। এই ঘটনায় বিরোধের একপর্যায়ে গতকাল রাতে মিলন মিয়া, এরশাদ মিয়া, রফিকুল ইসলাম ও আবুল কালামসহ ৪-৫ জন মিলে শ্রীধামকে মারধর করেন এবং মাছ বিক্রির ট্রে দিয়ে বুকে আঘাত করেন। শ্রীধামকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

সাঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সোহেল রানা বলেন, বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে বিরোধের কারণে হত্যার এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মো. মোশারফ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রিপন আকন্দ/এমজেইউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *