গাইবান্ধায় অর্থ আত্মসাতের মামলায় সুন্দরগঞ্জের ধর্মপুর আব্দুল জব্বার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগে হওয়া তদন্ত প্রমাণিত হওয়ায় বরখাস্তও হয়েছেন এই অধ্যক্ষ।
গাইবান্ধায় অর্থ আত্মসাতের মামলায় সুন্দরগঞ্জের ধর্মপুর আব্দুল জব্বার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগে হওয়া তদন্ত প্রমাণিত হওয়ায় বরখাস্তও হয়েছেন এই অধ্যক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে আদালতের বিচারক জান্নাতুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ আমলী আদালতের জিআরও মো. কামাল হোসেন।
কলেজ ও আদালত সূত্র জানায়, অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলামের বিরুদ্ধে কলেজে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে গত বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে তদন্তে অভিযোগের বিষয় প্রমাণিত হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশে একই বছরের ২ এপ্রিল তৎকালীন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল মারুফ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
পরবর্তীতে অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলাম বরখাস্ত হওয়ার পরও গাইবান্ধার সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখায় তথ্য গোপন করে কলেজের নামীয় অ্যাকাউন্ট থেকে অর্ধলক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করেন এবং তা আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে আদালতে (সিআর ৮২২/২৩) একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে আজ কারাগারে পাঠালেন আদালত।
উল্লেখ্য, কলেজ বন্ধ থাকা অবস্থায় নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে ক্ষমতা দেখিয়ে বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলাম তার লোকবল নিয়ে কলেজ গেটের তালা ভেঙে অনুপ্রবেশ করেন। সে ঘটনাতেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেন। সেটিও বর্তমানে চলমান রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও চার থেকে পাঁচটি মামলা রয়েছে বলে কলেজ-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
রিপন আকন্দ/এএমকে