‘গণহত্যার সহযোগী’ আখ্যা দিয়ে ফেনীর ডিসিকে অপসারণের দাবি

‘গণহত্যার সহযোগী’ আখ্যা দিয়ে ফেনীর ডিসিকে অপসারণের দাবি

‘গণহত্যার সহযোগী’ আখ্যা দিয়ে ফেনী জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তারকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

‘গণহত্যার সহযোগী’ আখ্যা দিয়ে ফেনী জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তারকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

রোববার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বিপ্লবী ছাত্রসমাজের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সোহান, আবদুল্লাহ উবায়ের অন্তু, সোনাগাজী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রেদোয়ানুল ইসলাম ও ফেনী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম রাতুল।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফেনীতে ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মহিপালে গণহত্যা চালিয়েছে। এতদিন পার হলেও ডিসি কোনো শহীদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করেনি। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ফেনীর দুই সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন নাসিম ও নিজাম হাজারীর সঙ্গে যোগসাজশে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন। জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তারকে ব্যক্তিত্বহীন উল্লেখ করে তার অপসারণ ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

বক্তব্যে ফেনী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম রাতুল বলেন, জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসর হয়ে কাজ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের সামনে এলে পায়ে ধরে সালাম করতেন। সাম্প্রতিক সময়ে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায়ও তার নিরব ভূমিকা সবাই দেখেছে। এতকিছুর পরও নতুন বাংলাদেশে অজানা কারণে তিনি এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন। আমরা ফেনীবাসী অবিলম্বে তার অপসারণ ও বিচারের দাবি করছি। 

এ সময়  ‘আশা ছিল উন্নতি আর শান্তি, করেছেন অনিয়ম আর দুর্নীতি’, ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘আওয়ামী লীগের দোসর শাহীনা আক্তারের বিচার চাই’, ‘দুর্নীতিবাজদের হাত ভেঙে দাও’- এমন নানা স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। পরে শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি মিছিল নিয়ে শহরের পুরাতন জেল রোড প্রদক্ষিণ করে ট্রাংক রোডের দোয়েল চত্বর গিয়ে শেষ হয়।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব শাহীনা আক্তারকে ফেনীর জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেন সরকার। তিনিই ছিলেন ফেনীর প্রথম নারী ডিসি।

তিনি ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন ২৭তম বিসিএসের (প্রশাসন) কর্মকর্তা। এর আগে তিনি টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শাহীনা আক্তার ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার সন্তান।

তারেক চৌধুরী/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *