মধ্যরাত থেকে ইলিশ আহরণ, বাজারজাতকরণ, পরিবহন ও মজুতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হচ্ছে। তাই শেষ মুহূর্তে খুলনায় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মাইকিং করে। বাজারে অন্যান্য দিনের চেয়ে ইলিশের সরবরাহ বেশি থাকলেও কমেনি দাম। মাইকিং শুনে ক্রেতারা এগিয়ে আসলেও দাম শুনে কেউ কেউ ফিরছেন খালি হাতে। আবার অনেকেই ফিরছেন অন্যান্য মাছ নিয়ে।
মধ্যরাত থেকে ইলিশ আহরণ, বাজারজাতকরণ, পরিবহন ও মজুতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হচ্ছে। তাই শেষ মুহূর্তে খুলনায় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মাইকিং করে। বাজারে অন্যান্য দিনের চেয়ে ইলিশের সরবরাহ বেশি থাকলেও কমেনি দাম। মাইকিং শুনে ক্রেতারা এগিয়ে আসলেও দাম শুনে কেউ কেউ ফিরছেন খালি হাতে। আবার অনেকেই ফিরছেন অন্যান্য মাছ নিয়ে।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, মজুদে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। তাই ভোজন ভিলাসী মানুষ শেষ মুহূর্তে ইলিশের স্বাদ নিতে খুলনার বাজারগুলোতে ভিড় করছেন। যাদের সামর্থ্য আছে তারা কিনছেন। আবার অনেকেই দাম বেশি হওয়ায় ইলিশ মাছ না কিনেই খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই আবার ইলিশের স্বাদ অন্য মাছে মেটাচ্ছেন।
নগরীর ময়লাপোতা সান্ধ্য বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ইমদাদুল বলেন, ভারতে এলসি বন্ধ। বাজারে ইলিশের আমদানি বেশি। তাই গত কয়েকদিনের তুলনায় মাছের দাম কেজিতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কম। দেড় কেজি সাইজের ইলিশ ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ১ কেজি সাইজের ইলিশ ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম সাইজের প্রতি কেজি ইলিশ ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা এবং জাটকা ইলিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি করছি।
ইলিশ বিক্রেতা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, শেষ মুহূর্তে এলসি বন্ধ থাকায় আজ খুলনার বিক্রেতারা কিছু ইলিশ পেয়েছেন। ইলিশের আমদানি বেশি হলেও দাম কমেনি। অনেকেই ইলিশ কিনতে দোকানে ভিড় করছেন, কিন্তু সাধ থাকলেও দাম সাধ্যের বাইরে থাকায় অনেকেই কিনছেন অন্য মাছ।
বাজারের বাইরের সড়কে ফুটপাতে মাছ বিক্রেতা আক্তার মোল্লা বলেন, বড় মাছের দাম অনেক। অনেকের ছোট মাছের দিকে ঝোঁক বেশি।
নগরীর বসুপাড়ার বাসিন্দা এস এম ফরিদ আহমেদ বলেন, বিক্রেতাদের মাইকিং শুনে বাজারে এসেছি। ব্যবসায়ীরা বড় ইলিশ ৫০০ টাকা করে বললেও কাছে গিয়ে দেখা যায় মাছের আকার ছোট। আধাঘণ্টা ধরে বাজারে ঘুরে দুই কেজি মাছ কিনেছি। গত মাসে ১ কেজি সাইজের মাছ ১৬০০ টাকায় কিনেছি, কিন্তু আজ সেই একই সাইজের ইলিশ ১৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ দেশের মাছ খাবে, কিন্তু দাম বেশি হওয়ার কারণে আজ অনেকের নাগালের বাইরে চলে গেছে ইলিশ। তাই অন্য মাছ কিনে দুধের সাধ ঘোলে মিটাচ্ছি।
বাজারে ইলিশ কিনতে আসা সোনাডাঙ্গার বাসিন্দা কাজী মোজম্মেল বলেন, মাছের দাম চড়া। তিনটি ইলিশের ওজন এক কেজি। এক কেজি ইলিশ ১৮০০ টাকা দরে কিনেছি। আজ যেহেতু এলসি বন্ধ, তাই দাম কম ভেবে মাছ কিনতে ময়লাপোতা সান্ধ্য বাজারে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি ভিন্ন অবস্থা। সরকার ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। এই জিম্মিদশা থেকে বের হতে না পারলে কোনোভাবে কোনো কিছুর দাম কমানো যাবে না।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর