বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে ব্যবসায়ীরা যে অবস্থায় মধ্যে ছিল এখন অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়ে তার চেয়ে অনেক বেশি স্বস্তিতে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও স্কয়ার গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তপন চৌধুরী।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে ব্যবসায়ীরা যে অবস্থায় মধ্যে ছিল এখন অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়ে তার চেয়ে অনেক বেশি স্বস্তিতে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও স্কয়ার গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তপন চৌধুরী।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে বাংলাদেশের শিল্পখাতের ভবিষ্যৎ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান তিনি।
ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ্ মৃধার সভাপতিত্বে “তপন চৌধুরী কনভারসেশন উইথ ইআরএফ মেম্বারস” শিরোনামে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
তপন চৌধুরী বলেন, আমরা আসলেই খুব কমফোর্ট ফিল করছি। একটা বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। সরকারের অফিসগুলোতেও আমরা বড় ধরনের একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। আগে যেখানে কথাই বলা যেত না, প্রশ্নই করা যেত না। এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানও খুব পজিটিভ। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করছেন। একই অবস্থা বাণিজ্য মন্ত্রনালয়েও। আমরা আশাবাদী।
তৈরি পোশাক খাত চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে জানিয়ে তপন চৌধুরী বলেন, দেশে তৈরি পোশাক খাতে এখন অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। যা বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। এই অবস্থার কারণে অনেক বিদেশি ক্রেতা চলে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, পোশাক খাত অস্থিতিশীল করার পেছনে অনেক ক্ষেত্রে দেশের বাইরের ইন্ধন থাকে। কিন্তু আমরা দেখতে পাই দেশে কিছু হলেই রাজনৈতিকভাবে পোশাক খাতকে ব্যবহার করা হয়। এর ফলে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দেশের স্বার্থে এ অবস্থা থেকে বের হতে হবে। কারণ, এখানে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক সরাসরি কাজ করছে। যাদের বেশিরভাগ নারী। বাংলাদেশে গার্মেন্টস সেক্টরের সফলতার পেছনেও নারী শ্রমিকদের ব্যাপক অবদান।
এক প্রশ্নের জবাবে তপন চৌধুরী বলেন, দেশের তৈরি পোশাক খাতে অস্থিতিশীল অবস্থার কারণে এখন বেশ কিছু ক্রেতা শ্রীলঙ্কায় চলে যাচ্ছেন। যারা আগে শ্রীলঙ্কাই ছিল। তাদের (শ্রীলঙ্কা) অস্থিতিশীল অবস্থার কারণে আমাদের দেশে ওইসব ক্রেতারা এসেছিল। এখন আমাদের অবস্থা অস্থিতিশীল হওয়ায় তারা আবারও ওখানে চলে যাচ্ছেন। তবে ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। আশা করছি খুব শিগগিরই স্থিতিশীল হবে সবকিছু।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি থাকার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ, ব্যবসায়ী থাকলে কেউ বলবে টেক্সটাইলে একটু সুবিধা দরকার, ওষুধ শিল্পে একটু সুবিধা দরকার। এখন যারা আছেন তারা কেউই ব্যবসায়ী নন, তাতে করে একটা সুবিধা হচ্ছে সব সেক্টরকেই তারা সমানভাবে দেখছেন। এটা পজিটিভ।
এই পরিস্থিতির মধ্যেও বর্তমান সরকারের কাছে দ্রুত একটি নির্বাচনী রূপরেখার দাবি করেন এই ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, দেশ চালাবেন মূলত রাজনৈতিক দলগুলো। এরা অল্প সময়ের জন্য আছেন, তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা দ্রুত একটা নির্বাচনী রূপরেখা দেশবাসীকে জানাবেন।
এসআই/এমজে