খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকে শেষ দিনের অবরোধ কর্মসূচি চলছে আজ। গত দুদিনের মতো দূরপাল্লার সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। অবরোধকে কেন্দ্র করে এখনো জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সেই সঙ্গে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে সেখানকার জনজীবন।
খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকে শেষ দিনের অবরোধ কর্মসূচি চলছে আজ। গত দুদিনের মতো দূরপাল্লার সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। অবরোধকে কেন্দ্র করে এখনো জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সেই সঙ্গে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে সেখানকার জনজীবন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেল খাগড়াছড়ি জেলার সীমানা পর্যন্ত যাতায়াত করতে দেখা গেছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, খাগড়াছড়িতে আজ হাটবার। হাটে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আজও সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবির টহল চলছে।
গত দুই দিনে বিচ্ছিন্ন ছোটখাটো দু একটি ঘটনা ঘটেছে। রোববার অবরোধ চলাকালে দীঘিনালার বাবুছড়া এলাকায় সীমান্ত সড়কে পাথর বহনকারী তিনটি ট্রাক খাগড়াছড়ি ফেরার পথে অবরোধকারীরা ভাঙচুর করে। জেলার মানিকছড়িতে তারা গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে। এছাড়া গত দুইদিনে জেলার কয়েকটি স্থানে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়েছে।
এদিকে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। আজও বন্ধ রয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল রুবায়েত বলেন, বিশেষ পরিস্থিতির কারণে শ্রণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে যথারীতি ক্লাস, পরীক্ষা চলবে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, অবরোধের কারণে সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের এখনো ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। সেখানে এক হাজারের বেশি পর্যটক আটকে আছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের গাড়ি ছাড়ছে না।
মোহাম্মদ শাহজাহান/আরকে