ক্রিকেটে মহাদেশীয় রোমাঞ্চ ফিরছে আবারও

ক্রিকেটে মহাদেশীয় রোমাঞ্চ ফিরছে আবারও

আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের সমন্বয়ে আয়োজিত টুর্নামেন্ট আফ্রো-এশিয়া কাপ নতুন করে আয়োজনের গুঞ্জন চলছে অনেকদিন ধরে। যেখানে এশিয়ান দেশগুলো সমন্বিতভাবে দল গড়ে। অন্যদিকে, আফ্রিকা মহাদেশের বেশ কয়েকটি দলের খেলোয়াড়রা হন তাদের প্রতিপক্ষ। আবার মহাদেশীয় এই রোমাঞ্চ মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। সেলক্ষ্যে ছয় সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের সমন্বয়ে আয়োজিত টুর্নামেন্ট আফ্রো-এশিয়া কাপ নতুন করে আয়োজনের গুঞ্জন চলছে অনেকদিন ধরে। যেখানে এশিয়ান দেশগুলো সমন্বিতভাবে দল গড়ে। অন্যদিকে, আফ্রিকা মহাদেশের বেশ কয়েকটি দলের খেলোয়াড়রা হন তাদের প্রতিপক্ষ। আবার মহাদেশীয় এই রোমাঞ্চ মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। সেলক্ষ্যে ছয় সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

গত শনিবার আফ্রিকা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশেন (এসিএ) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করেছে। কমিটির দায়িত্ব সংস্থার পুনর্গঠন ও আফ্রিকা মহাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের সুযোগ বৃদ্ধি করা। ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, এরই মধ্যে আফ্রো–এশিয়া কাপ চালু নিয়ে এসিএ ও এসিসির (এশিয়ান ক্রিকেট বাউন্সিল) মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) প্রধান তাবেঙ্গুয়া মুকুহলানিকে অন্তর্বর্তীকালীন এই কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছে এসিএ। পরবর্তীতে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আফ্রো-এশিয়া কাপ ক্রিকেটের বাইরে উভয় সংস্থাকে আর্থিক যোগান দিয়ে থাকে। যার জন্য উভয়েই থাকে তৃষ্ণার্ত। আফ্রিকার মধ্যে কথা তো হয়েছেই, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সঙ্গেও আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা চায় আফ্রো–এশিয়া কাপ পুনরুজ্জীবিত হোক।’ তবে এ বিষয়ে ক্রিকইনফো এসিসির কারও মন্তব্য নিতে পারেনি।

২০০৭ সালে সর্বশেষ ক্রিকেটবিশ্বকে বিনোদিত করেছিল আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের সমন্বয়ে আয়োজিত টুর্নামেন্ট। যেখানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ এশিয়া দেশগুলোর ক্রিকেটাররা খেলেছেন এক দলে। দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়ার সমন্বয়ে গড়া দল ছিল তাদের প্রতিপক্ষ। আরও একবার এমন কাপ আয়োজনের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। তেমনটা হলে একই দলে দেখা যেতে পারে সাকিব আল হাসান, বিরাট কোহলি ও বাবর আজমদের!

তারও আগে প্রথমবার আফ্রো-এশিয়া কাপ আয়োজিত হয়েছিল ২০০৫ সালে। যেখানে একসঙ্গে খেলতে দেখা যায় ইনজামাম-উল হক, কুমার সাঙ্গাকারা ও বীরেন্দর শেবাগদের। পরের আসরে ২০০৭ সালে মাহেলা জয়াবর্ধনের নেতৃত্বে খেলছেন সৌরভ গাঙ্গুলি, শহীদ আফ্রিদি, বীরেন্দর শেবাগ, মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ আসিফ, মাহেন্দ্র সিং ধোনি ও মাশরাফি বিন মুর্তজা।

টুর্নামেন্টটির তৃতীয় আসর কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২০০৯ সালে। তবে দুই দশকেও আর সেটি মাঠে গড়াতে পারেনি। এমন আয়োজন হতে পারে একই দলে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে একসঙ্গে দেখার সুযোগ। বড় আসর ছাড়া যাদের সাধারণত কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হতে দেখা যায় না। এর বাইরে এশিয়া থেকে রয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের মতো দেশ। অন্যদিকে, আফ্রিকা মহাদেশ থেকে আগে থেকে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া। বর্তমানে নামিবিয়া, উগান্ডার মতো দলও বিশ্ব ক্রিকেটে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *