কোলন ক্যান্সারে বিশ্বকাপ ‘আইকনের’ মৃত্যু

কোলন ক্যান্সারে বিশ্বকাপ ‘আইকনের’ মৃত্যু

ইতালি ও জুভেন্তাসের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার সালভাতোর শিল্লাচি কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ১৯৯০ বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্সে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ওই আসরের আইকন। যদিও তার দল সেবার বিদায় নেয় সেমিফাইনাল থেকে। তবে ব্যক্তিগতভাবে শিল্লাচি ৬ গোলের পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্ট করেন। যার বদৌলতে তিনি বিশ্বকাপ আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট জিতে নেন।

ইতালি ও জুভেন্তাসের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার সালভাতোর শিল্লাচি কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ১৯৯০ বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্সে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ওই আসরের আইকন। যদিও তার দল সেবার বিদায় নেয় সেমিফাইনাল থেকে। তবে ব্যক্তিগতভাবে শিল্লাচি ৬ গোলের পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্ট করেন। যার বদৌলতে তিনি বিশ্বকাপ আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট জিতে নেন।

প্রয়াণের আগে দীর্ঘদিন কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ইতালিয়ান এই স্ট্রাইকার। তার এই মরণব্যাধি ধরা পড়ে ২০২২ সালে। ৫৯ বছর বয়সে পালেরমো হাসপাতাল তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। ১৯৯০ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নেয় ইতালি। তবে ঠিকই ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ‘তোতো’ নামে পরিচিত শিল্লাচি আসরসেরা গোলদাতা হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে যান।

যদিও ইতালি জাতীয় দলের হয়ে বেশি খেলা হয়নি এই স্ট্রাইকারের। সবমিলিয়ে তিনি কেবল ১৬ ম্যাচ খেলেন। যেখানে ৭ গোলের সঙ্গে করেন একটি অ্যাসিস্ট। তবে তার এক বিশ্বকাপই তাকে স্মরণীয় করে রেখেছে। অথচ ১৯৯০ ছিল তার অভিষেক বিশ্বকাপ, এমনকি তিনি বদলি হিসেবে নেমেছিলেন অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে। এরপর দারুণ এক গোল করে সুযোগটি কাজে লাগান। পরের ম্যাচেও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বদলি হিসেবে খেলানো হয় শিল্লাচিকে।

পরবর্তীতে আসরের বাকি সব ম্যাচেই পুরো সময় খেলানো হয় তাকে। গ্রুপ পর্বে চেক রিপাবলিক, শেষ ষোলোয় উরুগুয়ে, কোয়ার্টার-ফাইনালে আয়ারল্যান্ড, সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা এবং তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি করে গোল করেন এই ফরোয়ার্ড। বিশ্বকাপের পর ১৯৯১ সালেই থেমে যায় তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তবে খেলা চালিয়ে গেছেন ক্লাব ফুটবলে, সেখানকার ক্যারিয়ারও বেশ সমৃদ্ধ তার। ক্যারিয়ারে চারটি ক্লাবের হয়ে শিল্লাচি মোট ৩৮৪ ম্যাচ খেলেন। ১৫৯ গোলের সঙ্গে অ্যাসিস্ট করেন ১৯টি। সবচেয়ে বেশি জুভেন্তাসের ১৩২ ম্যাচ খেলেন এই তারকা।

শিল্লাচির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। তিনি বলেন, ‘একজন ফুটবল আইকন আমাদের ছেড়ে গেলেন। বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে যিনি সমগ্র ইতালিয়ান এবং ক্রীড়াভক্তদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। ইতালিয়া–৯০ জাতীয় দলের হয়ে তিনি জাদুময় রাত উপহার দিয়েছিলেন, এমন আবেগপূর্ণ মুহূর্ত, স্বপ্ন দেখার সুযোগ, উদযাপন, সবার সঙ্গে একীভূত হওয়া এবং জাতীয় পতাকা উঁচিয়ে ধরার সুযোগ করে দেওয়ায় আপনার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা।’

এ ছাড়া শিল্লাচির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ফিফা, ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন, ক্লাব ফুটবল সিরি-আ কর্তৃপক্ষ, জুভেন্তাস ক্লাব ও সাবেক সতীর্থ বাগিও।

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *