কোচ ইস্যু নিয়ে ব্যাখা তামিমের, জানালেন কে হতে পারেন প্রধান কোচ

কোচ ইস্যু নিয়ে ব্যাখা তামিমের, জানালেন কে হতে পারেন প্রধান কোচ

‘আমার মনে হয় না, প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য কেউ বাংলাদেশে এখন আছে।’—ভারতীয় ক্রীড়া সাময়িকী স্পোর্টস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবালের এমন মন্তব্য নিয়ে দেশের ক্রিকেটে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। এর মধ্যেই কোচ ইস্যুতে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তামিম। 

‘আমার মনে হয় না, প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য কেউ বাংলাদেশে এখন আছে।’—ভারতীয় ক্রীড়া সাময়িকী স্পোর্টস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবালের এমন মন্তব্য নিয়ে দেশের ক্রিকেটে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। এর মধ্যেই কোচ ইস্যুতে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তামিম। 

আজ (বুধবার) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে গণমাধ্যমকে দেশি কোচ ইস্যুতে বলা নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তামিম ইকবাল।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যারা কোচ আছেন, সবাই সেরা। তাদের বেশির ভাগ কোচ বিপিএলে কোচিং করান। কিন্তু এক বিপিএল দিয়ে আপনি জাতীয় দলের প্রধান কোচ করবেন, এটা চিন্তা করা ভুল। আমার মনে হয় বাংলাদেশের কোনো কোচকে যদি জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসাবে চিন্তা করে বোর্ড সে ক্ষেত্রে সোহেল (ভাইয়ের) নাম আসবে। তার অনুশীলনের ধরনও বেশ মানানসই আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে।’

দেশি কোচ সোহেল ইসলামকে নিয়ে তামিম আরও বলেন, ‘আমার দেখা বাংলাদেশের কোনো কোচকে যদি বেছে নিতে হয় জাতীয় দলের জন্য, আমি বলব তিনি কোচ সোহেল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সবচেয়ে বেশি সময় দেন। আমার মনে হয় চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চেয়ে বেশি। যতটুকু দেখেছি শান্ত, হৃদয়, রিশাদ, জাকির, জুনিয়র তামিমদের নিয়ে কাজ করেন সোহেল ইসলাম। এর ফল আমরা গত পাকিস্তান সফরে পেয়েছি। তিনি ‘এ’ দলের ক্রিকেটারদের চার দিনের ম্যাচের জন্য তৈরি করেন। আমার তো মনে হয় না বাংলাদেশের আর কোনো কোচ এ সংস্করণের জন্য ক্রিকেটারদের তৈরি করেন।’

এর আগে স্পোর্টস্টারকে জাতীয় দলে দেশি কোচ ইস্যুতে তামিম বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় না, প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য কেউ বাংলাদেশে এখন আছে। এখন এমন দু-তিনজন আছেন, যারা সহকারী কোচ হতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয় না, তারা জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার উপযুক্ত।’

তবে দেশি কোচদের প্রাধান্য দেওয়া নিয়ে তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে ৭০: ৩০ অনুপাত থাকা উচিত। প্রধান কোচ পদে একজন বিদেশি ও তার সঙ্গে বড়জোর আরও দুজন বিদেশি কোচ থাকতে পারেন। সহকারী কোচ পদে বাকি ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি নিয়োগ করা উচিত। তাতে স্থানীয় কোচদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এবং একদিন তারা প্রধান কোচ হতে পারবেন।’

এদিকে নতুন কোচ পাওয়া নিয়ে তামিমের ভাষ্যে, ‘বাংলাদেশের বড় নামের পেছনে ছোটা বন্ধ করা উচিত। কারণ বিখ্যাত সবাই দলের জন্য ভালো কোচ হয় না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কারা মানানসই, সেটা তাদের (বিসিবি) খুঁজে বের করতে হবে। সেই ব্যক্তিকে কঠোর পরিশ্রমী হওয়ার পাশাপাশি দলে কিছু যোগ করার সামর্থ্য থাকতে হবে।’

এসএইচ/এফআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *