বর্তমান সময়ে সমাজে বিচ্ছেদের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে শোবিজাঙ্গনে এই প্রভাবটা যেন একটু বেশিই চোখে পড়ছে। তবে শত শত উদাহরণের মাঝেও ব্যতিক্রম তারকা দম্পতি অভিনেতা ফখরুল বাশার মাসুম এবং তার স্ত্রী অভিনেত্রী মিলি বাশার।
বর্তমান সময়ে সমাজে বিচ্ছেদের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে শোবিজাঙ্গনে এই প্রভাবটা যেন একটু বেশিই চোখে পড়ছে। তবে শত শত উদাহরণের মাঝেও ব্যতিক্রম তারকা দম্পতি অভিনেতা ফখরুল বাশার মাসুম এবং তার স্ত্রী অভিনেত্রী মিলি বাশার।
দুজনই থিয়েটার করতেন। একসঙ্গে পথচলা থেকে ভালো লাগা, পরবর্তীতে বিয়ের সিদ্ধান্ত। ১৯৮২ সালের ৩০ জুলাই একে অন্যের গলায় মালা দেন এই জুটি। এরপর কেটে গেছে ৪২ বছর। এক ছাদের নিচেই সুখে শান্তিতে কাটিয়ে দিয়েছেন তারকা দম্পতি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বর্তমান প্রজন্মের ‘বিচ্ছেদ’ সমস্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে কথা বলেছেন দু’জন। যেখানে নিজেদের জীবন থেকেও কিছু অভিজ্ঞতার গল্প শেয়ার করেছেন।
দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী মিলি বাশার বলেন, আমাদের ক্ষেত্রে আগে এবং এখনো বেশ ধৈর্য আছে ছিল ও আছে। কিছু হলে আমরা আগে ধৈর্য ধরে কয়েক দিন দেখি যে কী হয়। তারপর সেটি ঠিক হয়ে যায়। এই ধৈর্যটা আজকাল সবার মধ্যে কম।
একই কথা শোনা গেল অভিনেতা মাসুম বাশারের কণ্ঠেও। তিনি বলেন, এই জেনারেশনের ধৈর্য এখন নাই, কম। বর্তমান প্রেক্ষাপটেও দেখতে পাচ্ছি মোটেও ধৈর্য নাই। ১৫ বছর আমরা কষ্ট করেছি, কিন্তু এখন কিঞ্চিৎ কষ্ট করতে রাজি না; এখনই চাই। তো ওই এখনই চায়ের মতো অবস্থায় বিচ্ছেদগুলো হয়ে যায়। এখনই চাই অবস্থায় যখন হয় না, বিয়ের পরদিনই যদি উভয় পক্ষই এখনই চাই করে, তাহলে সেটি না হলে দেখা যায় আলাদা হয়ে যায়। একটি সুন্দর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সেক্রিফাইস এবং কমপ্রোমাইজ দুটোই থাকতে হবে। সেই ধৈর্য ধরতে হবে বলেও জানান এ অভিনেতা।
এনএইচ