কেঁদে ভাসিয়েছিলেন আলিয়া, জানালেন বানসালি

কেঁদে ভাসিয়েছিলেন আলিয়া, জানালেন বানসালি

বছর পাঁচেক আগে ঘোষণা হয়েছিল ‘ইনশাল্লাহ’ ছবির কথা। পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি জানিয়েছিলেন, তার পরিচালনায় এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে সালমান খান এবং আলিয়া ভাটকে। ২০২১-এর ঈদে মুক্তি পাবে ‘ইনশাল্লাহ’। 

বছর পাঁচেক আগে ঘোষণা হয়েছিল ‘ইনশাল্লাহ’ ছবির কথা। পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি জানিয়েছিলেন, তার পরিচালনায় এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে সালমান খান এবং আলিয়া ভাটকে। ২০২১-এর ঈদে মুক্তি পাবে ‘ইনশাল্লাহ’। 

তবে ছবির নামকরণ হয়ে যাওয়ার পরেও আলমারিতে তুলে রাখা হয়েছিল ‘ইনশাল্লাহ’। ফিসফাস উঠেছিল, সালমানের ‘অতিরিক্ত নাক গলানো’ই  নাকি ছবি বাতিল হওয়ার মূল কারণ।

যদিও ছবি বাতিল হওয়ার নেপথ্যের কোনও কারণ নিয়ে আজ পর্যন্ত প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি বানসালি অথবা সালমানের কেউই। মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছিলেন আলিয়াও। 

তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের মুখেই এই ছবি প্রসঙ্গ কথা বলেন তোলেন বানসালি। জানান, এই ছবির কাজ বন্ধ হওয়ার পর কীভাবে ভেঙে পড়েছিলেন আলিয়া। নির্মাতার কথায়, ‘সাংঘাতিক কান্নাকাটি করেছিল আলিয়া। এতটাই ভেঙে পড়েছিল যে নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্ধ করে রেখেছিল সে।’

প্রসঙ্গত, ‘ইনশাল্লাহ’ ছবিটিকে বাতিল করলেও আলিয়াকে বঞ্চিত করতে চাননি বানসালি। তাই তার জন্য ‘গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়ারি’ ছবিটি বানান তিনি। যে ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

বানসালি বলেন, অবশ্য আলিয়াকে যখন আমি প্রথমবার ফোন করে ‘গঙ্গু’র চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেই, সে একেবারেই রাজি হয়নি। বরং জানিয়েছিল এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে পারবে কি না সে বিষয়ে নিজেরই সন্দেহ আছে। সেই শুনে ওকে ভরসা জুগিয়ে বলেছিলাম, আমার কাজের সঙ্গে যদি পরিচিত হয়ে থাকে তাহলে যেন আমার উপরে একটু বিশ্বাস রাখে। তাহলেই হবে।’

নির্মাতার কথায়,  ‘আসলে… আলিয়ার চোখের মধ্যে একটা অদ্ভুত আগুন দেখেছিলাম, একটা দৃঢ়তা দেখতে পেয়েছিলাম। তার উপর ভরসা করেই সেই কথা বলেছিলাম। তারপর কী হল…দর্শক তো দেখতেই পেয়েছেন। ‘‘গঙ্গুবাঈ’’-এর চরিত্রে ধীরে ধীরে ঢুকে পড়ে উড়তে শুরু করেছিলেন আলিয়া! আজও মাঝেমধ্যে ওই চরিত্রটির মতো কথা বলে ফেলে অজান্তেই।’

এনএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *