কুষ্টিয়ার খোকসায় মাইক্রোবাসের চাপায় দুই বোনসহ একই এলাকার চার শিশু নিহতের ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালক কাবের আলীকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ঈদগাহপাড়া তার বোনের বাসা থেকে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের অভিযানিক দল গ্রেপ্তার করে।
কুষ্টিয়ার খোকসায় মাইক্রোবাসের চাপায় দুই বোনসহ একই এলাকার চার শিশু নিহতের ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালক কাবের আলীকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ঈদগাহপাড়া তার বোনের বাসা থেকে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের অভিযানিক দল গ্রেপ্তার করে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান কুষ্টিয়া র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান।
গ্রেপ্তার কাবের আলী চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আমতৈল গ্রামের সরোয়ার উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টার দিকে আরবি পড়া শেষে মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার সময় খোকসার শিমুলিয়ায় কুঠিপাড়া এলাকার কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসের চাপায় আপন দুই বোনসহ একই এলাকার চার শিশু নিহত হয়। একই পরিবারের দুই শিশুসহ পাশাপাশি বাড়ির চার শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহতরা হলো- খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া মধ্যপাড়ার পালন শেখের মেয়ে মারিয়া খাতুন (১৪) ও তানজিলা খাতুন (১৩), তাদের প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিনের মেয়ে জ্যোতি খাতুন (১০) এবং হানিফ আলীর মেয়ে মিম খাতুন (১১)। এই ঘটনায় ফাতেমা নামের এক শিশু আহত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান বলেন, মাইক্রোবাসের চালক দুর্ঘটনার আগের দিন চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে প্রবাসীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় ফিরছিলেন। এ সময় তিনি অনেক ক্লান্ত ছিলেন। ঘুম ঘুম চোখে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এ কারণে কুষ্টিয়ার খোকসায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
এই দুর্ঘটনার প্রতিবাদে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে হাইওয়ে ও থানা পুলিশ যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করে।
রাজু আহমেদ/এমজেইউ