রাশিয়ার কুরস্কের একাংশ নিজেদের দখলে রাখার ব্যাপারে উৎসাহী নয় ইউক্রেন, এমনটাই জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, রাশিয়া যখনই ন্যায্য শান্তি মেনে নেবে, তখনই ইউক্রেনের সেনা কুরস্ক ছেড়ে চলে আসবে।
রাশিয়ার কুরস্কের একাংশ নিজেদের দখলে রাখার ব্যাপারে উৎসাহী নয় ইউক্রেন, এমনটাই জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, রাশিয়া যখনই ন্যায্য শান্তি মেনে নেবে, তখনই ইউক্রেনের সেনা কুরস্ক ছেড়ে চলে আসবে।
মূলত কুরস্কে ইউক্রেনের সেনা ঢুকে যাওয়া হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ার মাটিতে সবচেয়ে বড় বিদেশি সেনার আক্রমণের ঘটনা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার ভূখণ্ডে ঢুকে মস্কোর সেনার অস্ত্র ও অন্য জিনিস সরবরাহের প্রক্রিয়াটা ব্যহত করতে চেয়েছে। রাশিয়ার সেনা সহজে দোনেৎস্ক যেতে পারবে না।
ওই মুখপাত্র বলেছেন, ‘রাশিয়া যখনই ন্যায্য শান্তি মেনে নেবে, তখনই ইউক্রেনের সেনা কুরস্ক ছেড়ে চলে আসবে। ইউক্রেন রাশিয়ার এলাকা নিতে চায় না। তারা নিজেদের মানুষের জীবন রক্ষা করতে চায়। এই কুরস্ক থেকে সম্প্রতি দুই হাজার বার আক্রমণ করেছে রাশিয়া।’
তার দাবি, ‘ইউক্রেনের সেনা ইউরোপের সভ্য সেনা। তারা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলে। তারা কেবল সামরিক বাহিনীকেই টার্গেট করে।’
তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়াই ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল। তাই এখন যুদ্ধ রাশিয়ার ভূখণ্ডে নিয়ে যাওয়ার মধ্যে কোনো অন্যায় নেই।’
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ইউক্রেনের সেনা এখন রাশিয়ার কুরস্ক এলাকায় ৭৪টি বসতি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি বলেছেন, কুরস্কের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি কম্যান্ডার ইন চিফের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং নিয়মিত রিপোর্ট পাচ্ছেন।
তিনি জানিয়েছেন, কঠিন ও তীব্র লড়াই সত্ত্বেও আমাদের সেনা কুরস্কে এগিয়ে যেতে পেরেছে। ৭৪টি বসতি আমাদের দখলে আছে। সেখানে আমরা পরিদর্শনের কাজ করছি এবং পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার কাজ করছি।
জেলেনস্কি আরও বলেছেন, আমি আমার সেনার প্রতি কৃতজ্ঞ। পরবর্তী পদক্ষেপের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দাবি, ‘আমরা আবার দেখিয়ে দিয়েছি, ইউক্রেন নিজের স্বার্থরক্ষা করতে পারে। আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি। আমরা আমাদের স্বাধীনতা বজায় রাখতে পারি।’
অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, তারা কুরস্কে ইউক্রেনের সেনার নতুন আক্রমণ প্রতিহত করেছে। রাশিয়ার সেনা বেশ কয়েকটি গ্রামে তারা ইউক্রেনের সেনার আক্রমণের মোকাবিলা করতে পেরেছে।
রাশিয়া এখানে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও বিমান হামলার মাধ্যমে ইউক্রেনের সেনার মোকাবিলা করছে বলে জানা গেছে।
চেচেন আখমত বিশেষ বাহিনীর কম্যান্ডার মেজর জেনারেল আপতি আলকুদিনভ বলেছেন, ইউক্রেনের সেনাকে থামানো সম্ভব হয়েছে। তারা জানে, তারা যে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল তাতে কাজ হচ্ছে না।
টিএম