দীর্ঘদিন পর যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কেটে যাওয়ার পর এই প্রথম পর্যটকদের পদভারে মুখরিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। নীল জলরাশিতে উল্লাসে মেতেছেন ছোট-বড় নানা বয়সী পর্যটকর। দুশ্চিন্তা শেষে হাসি ফুটেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মুখে। এদিকে পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে সতর্ক অবস্থানে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ।
দীর্ঘদিন পর যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কেটে যাওয়ার পর এই প্রথম পর্যটকদের পদভারে মুখরিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। নীল জলরাশিতে উল্লাসে মেতেছেন ছোট-বড় নানা বয়সী পর্যটকর। দুশ্চিন্তা শেষে হাসি ফুটেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মুখে। এদিকে পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে সতর্ক অবস্থানে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হাজারো পর্যটকের আগমনে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। উত্তাল সমুদ্রে গোসল, হইহুল্লোড়, ঢেউয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে আনন্দ উল্লাস ও উন্মাদনায় মেতে ওঠেন নানা বয়সী পর্যটকরা। সৈকতের ওয়াটার বাইক, স্পিডবোর্ড এবং টিউবে চরে সমুদ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। কেউ কেউ আবার সৈকতের বালিয়াড়িতে আকছেন নানা আলপনা। এমন ছন্দময় সময়কে স্মরণীয় করে রাখতে অনেকেই সৈকতের ফটোগ্রাফার দিয়ে ছবি তুলছেন, কেউ কেউ ছাতার নিচে বসে সমুদ্র ও সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করছেন, আবার কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে সৈকতের প্রকৃতি দেখছেন।
আগত পর্যটকরা সমুদ্রের এমন রুদ্র রূপ দেখে খুবই খুশি। মৌসুমের শুরুতে বর্ষার শেষে ছুটির দিনে পর্যটকদের এমন ভিড় দেখে হতাশা কেটে যাবে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। হোটেল মোটেল রিসোর্টগুলোতে স্বাভাবিক ভাড়ায় রুম পেয়ে খুশি পর্যটকরা। খাবার হোটেল, ঝিনুক মার্কেট, রাখাইন মার্কেট, মিশ্রিপাড়া তাতঁপল্লীতে বেচাকেনায় খুশি পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীরা। পর্যটন ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ট্যুর অপারেটর এবং টুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনগুলো।
বরিশাল মুলাদী থেকে আসা পর্যটক দীপঙ্কর ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি এর আগেও কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছি। এবার আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে এসেছি। কুয়াকাটা খুবই সুন্দর জায়গা তাই আমি বারবার আসি।
যশোর থেকে আসা পর্যটক মাহফুজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুয়াকাটা আসছি। বাচ্চাদের নিয়ে গোসল করতে সমুদ্রে নেমেছি। পরিবারের সবাই আনন্দ-উল্লাসে গোসলে মেতেছে। তবে দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাওয়ার যাতায়াতের ব্যবস্থা খুবই খারাপ। তাই এগুলোর পরিবর্তন দরকার।
ঢাকা থেকে আসা নারী পর্যটক দিবা ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুয়াকাটার প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। এখানকার সবকিছু খুবই সুন্দর, আমার ভালো লেগেছে। কুয়াকাটার অনেক গল্প শুনেছি, অনেকদিন ধরেই আসবো আসবো ভাবছিলাম, তাই এবারের ছুটিতে চলে এসেছি।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের পুলিশ সুপার আনসার উদ্দিন শুভ ঢাকা পোস্টকে বলেন, পর্যটকের চাপ একটু বেশি রয়েছে। তাই পর্যটকের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া মাঠে টহল টিম কাজ করছে। কুয়াকাটার প্রত্যেকটি দর্শনীয় স্থানে আমাদের টিম রয়েছে। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে সর্বদা প্রস্তুত আমরা।
এসএম আলমাস/এএমকে