কুমিল্লায় শুক্রবারও বাজার মনিটরিংয়ে শিক্ষার্থীরা

কুমিল্লায় শুক্রবারও বাজার মনিটরিংয়ে শিক্ষার্থীরা

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর সারাদেশে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, ময়লা পরিষ্কার ও বাজার মনিটরিংয়ের কাজ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। সারাদেশের মতো কুমিল্লায়ও এ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা।

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর সারাদেশে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, ময়লা পরিষ্কার ও বাজার মনিটরিংয়ের কাজ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। সারাদেশের মতো কুমিল্লায়ও এ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা।

বিগত দিনের মতো শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকে কুমিল্লা নগরীর সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ বাজারে মনিটরিংয়ের কাজ করতে দেখে গেছে শিক্ষার্থীদের। নগরীর রাজাগঞ্জ বাজার, টমছমব্রিজ বাজার, নিউমার্কেট ও শাসনগাছা এলাকায় বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তাদের বাজার মনিটরিং করতে দেখা গেছে। 

এ সময় পণ্যের গুণগত মান যাচাই এবং ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কিনা সেটির তদারকি করতে দেখা গেছে তাদের। এ ছাড়াও প্রতিটি দোকানে মূল্যতালিকা আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হয়। যেসব দোকানে কোনো ত্রুটি দেখা যাচ্ছে সেসব দোকানিকে সতর্ক করছেন তারা। 

শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা ভোক্তাদের কথা শুনছি। তারা (ভোক্তারা) জানিয়েছেন, আগের চেয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে সিন্ডিকেট এবং চাঁদার সংস্কৃতি না থাকায় কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারছেন বিক্রেতারা। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন এখন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। এই রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তর সমস্যায় জর্জরিত। আমরা এই রাষ্ট্রের সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাব। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেব। 

শিক্ষার্থীদের এসব কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। 

বাজারে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগটা খুবই ভালো লেগেছে। প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তার সুযোগে ব্যবসায়ীরা অসদুপায় অবলম্বন করতে চাইত, কিন্তু শিক্ষার্থীদের মনিটরিংয়ের ফলে চাইলেও তারা সেটা করতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের অনেক ধন্যবাদ। 

কুমিল্লা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির মাসউদ বলেন, দেশের অভূতপূর্ব পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। রাস্তায় রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ট্রাফিকের কাজ করছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বাজার মনিটরিংয়েও তারা কাজ করছেন। জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত, আমাদের ছেলে-মেয়েরা রাষ্ট্র মেরামতে নেমেছে। তাদের কাজকে অনুপ্রেরণা জানানো উচিত সবার।

আরিফ আজগর/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *