ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) বিপ্লব কুমার সরকারের কিশোরগঞ্জের বাড়িতে হামলা চালিয়েছি বিক্ষুব্ধ জনতা। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকায় বিপ্লব কুমারের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) বিপ্লব কুমার সরকারের কিশোরগঞ্জের বাড়িতে হামলা চালিয়েছি বিক্ষুব্ধ জনতা। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকায় বিপ্লব কুমারের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের খবর শোনা মাত্র কিশোরগঞ্জে বিজয় মিছিল বের করে সর্বস্তরের জনতা। এ সময় তারা কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় হামলা চালিয়েও ভাঙচুর করে।
সেনাবাহিনী টহলকারী একটি গাড়ি আন্দোলকারীদের অনুরোধ করলে তারা সরে যায়। পরে কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা।পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ব্যক্তির বাড়িতে আগুন দেয় তারা।
আন্দোলনকারীরা সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজ উমান খানসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
তারা দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বহুতল বাসভবনে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আন্দোলনকারীরা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের শ্যালক ডা. নৌশাদ খানের ফিরোজা ক্লিনিক ও বাসভবনেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এছাড়া বিক্ষুব্ধ জনতা সময় টিভি, প্রতিদিনের বাংলাদেশের জেলা কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। জেলার পাকুন্দিয়া, হোসেনপুর, কটিয়াদী, নিকলী, বাজিতপুর, ভৈরবসহ ১৩টি উপজেলায় আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অফিস বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়।
মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/আরকে