কিয়ামতের যে ১০ আলামতের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে

কিয়ামতের যে ১০ আলামতের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে

মানুষের ভালো-মন্দ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে মানুষকে পাঠিয়েছেন। পৃথিবীর এই রঙ্গমঞ্চে মানুষকে তার ব্যক্তিগত ইচ্ছাধিকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন, যা খুশি তাই করার অধিকার দিয়েছেন। কোনো কিছুতে বাধা নেই, যাচ্ছেতাই জীবনযাপনে রাশ টানার কেউ নেই। তবে এই সবের সমাপ্তি ঘটবে কিয়ামতের মাধ্যমে। কিয়ামতের মাধ্যমেই রঙরসে ভরা পৃথিবীর এই জীবনের সমাপ্তি ঘটবে। 

মানুষের ভালো-মন্দ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে মানুষকে পাঠিয়েছেন। পৃথিবীর এই রঙ্গমঞ্চে মানুষকে তার ব্যক্তিগত ইচ্ছাধিকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন, যা খুশি তাই করার অধিকার দিয়েছেন। কোনো কিছুতে বাধা নেই, যাচ্ছেতাই জীবনযাপনে রাশ টানার কেউ নেই। তবে এই সবের সমাপ্তি ঘটবে কিয়ামতের মাধ্যমে। কিয়ামতের মাধ্যমেই রঙরসে ভরা পৃথিবীর এই জীবনের সমাপ্তি ঘটবে। 

কিয়ামতের সংবাদ সব যুগেই সব নবী দিয়ে গেছেন উম্মতকে। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও কিয়ামত সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘কেয়ামত সন্নিকটে’। কোরআনে আরও বর্ণিত হয়েছে, তারা শুধু এই অপেক্ষাই করছে যে, কেয়ামত অকস্মাৎ তাদের কাছে এসে পড়ুক। বস্তুত কেয়ামতের লক্ষণসমূহ তো এসেই পড়েছে। সুতরাং কেয়ামত এসে পড়লে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে কেমন করে?’ (সূরা মুহাম্মদ, আয়াত : ১৮)

নবীজি সা. কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগ মুহুর্তের বেশ কিছু আলামতের কথা বলেছেন। এই আলামতগুলোর মধ্যে সর্বশেষ ও ভয়াবহ হলো দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটা। দাজ্জাল কেয়ামতে ৪০ দিন আগে পৃথিবীতে আসবে এবং মানুষকে বিপথগামী করতে সবধরনের চেষ্টা চালাবে। 

দাজ্জালের আবির্ভাবের বিষয়টি কোরআন-হাদিস সমর্থিত। সে মিথ্যা জান্নাত-জাহান্নামের চিত্র দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে। হাদিসের বর্ণনামতে, ‘দ্রুতগামী বাতাস বৃষ্টিকে যেভাবে চালিয়ে নেয়, দাজ্জালের চলার গতিও সেরকম হবে।’(মুসলিম- কিতাবুল ফিতান)।

এক হাদিসে কিয়ামতের ১০টি আলামতের কথা বর্ণিত হয়েছে। হাদিসটি তুলে ধরা হলো এখানে—

মুসলিম শরীফে হুযায়ফা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

اطَّلَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْنَا وَنَحْنُ نَتَذَاكَرُ فَقَالَ مَا تَذَاكَرُونَ قَالُوا نَذْكُرُ السَّاعَةَ قَالَ إِنَّهَا لَنْ تَقُومَ حَتَّى تَرَوْنَ قَبْلَهَا عَشْرَ آيَاتٍ فَذَكَرَ الدُّخَانَ وَالدَّجَّالَ وَالدَّابَّةَ وَطُلُوعَ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا وَنُزُولَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَأَجُوجَ وَمَأْجُوجَ وَثَلَاثَةَ خُسُوفٍ خَسْفٌ بِالْمَشْرِقِ وَخَسْفٌ بِالْمَغْرِبِ وَخَسْفٌ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ وَآخِرُ ذَلِكَ نَارٌ تَخْرُجُ مِنَ الْيَمَنِ تَطْرُدُ النَّاسَ إِلَى مَحْشَرِهِمْ

একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে এলেন। আমরা তখন কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তিনি বললেন, যত দিন তোমরা দশটি আলামত না দেখ তত দিন কিয়ামত হবে না। 

১. ধোঁয়া। ২. দাজ্জালের আগমন। ৩.। ভূগর্ভ থেকে নির্গত দাব্বাতুল আরদ নামক অদ্ভুদ এক প্রাণীর আগমন। ৪. পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়। ৫. ঈসা ইবনে মারইয়ামের আগমন।

৬. ইয়াজুজ-মাজুজের আবির্ভাব। ৭. পূর্বে ভূমি ধ্বস। ৮. পশ্চিমে ভূমি ধ্বস। ৯. আরব উপদ্বীপে ভূমি ধ্বস। ১০. সর্বশেষে ইয়ামান থেকে একটি আগুন বের হয়ে মানুষকে সিরিয়ার দিকে হাঁকিয়ে নিবে। (মুসলিম, কিতাবুল ফিতান)

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *