কানপুরে স্টেডিয়ামের বাইরে বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানোর অভিযোগ

কানপুরে স্টেডিয়ামের বাইরে বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানোর অভিযোগ

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের রূপ বদলেছে অনেকবারই। ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্কের রঙ বদলেছে কয়েক দফায়। তবে, সেই সম্পর্ক তিক্ততার পর্যায়ে ছিল না কখনোই। যদিও দুই দেশেই বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাবের মানুষের অভাব নেই। ক্রিকেট, ধর্ম কিংবা রাজনীতির কারণে দুই দেশের মানুষের মাঝে দেখা যায় বৈরিতা। তারই একটি নমুনা দেখা গেল কানপুরে। 

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের রূপ বদলেছে অনেকবারই। ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্কের রঙ বদলেছে কয়েক দফায়। তবে, সেই সম্পর্ক তিক্ততার পর্যায়ে ছিল না কখনোই। যদিও দুই দেশেই বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাবের মানুষের অভাব নেই। ক্রিকেট, ধর্ম কিংবা রাজনীতির কারণে দুই দেশের মানুষের মাঝে দেখা যায় বৈরিতা। তারই একটি নমুনা দেখা গেল কানপুরে। 

উত্তরপ্রদেশের কানপুর শহরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে তখন চলছিল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এ টেস্ট ঘিরে আগে থেকেই হুমকি দিয়ে রেখেছিল হিন্দু মহাসভা নামের একটি সংগঠন। গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের সময় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ এনে এ ম্যাচে হামলার কথা জানায় তারা। সেই হামলা না হলেও বাংলাদেশের ওপর আঘাত এলো অন্যভাবে। গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের বাইরে এদিন পোড়ানো হলো বাংলাদেশের পতাকা। 

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান লাইভ তাদের এক খবরে জানায়, গ্রিনপার্ক স্টেডিয়ামের বাইরে বাংলাদেশের পতাকা পুড়িয়ে দেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নামের একটি সংগঠন। ম্যাচ শুরুর পর থেকে স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হয়ে স্লোগান দেন তারা। বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা চেয়ে পোস্টার হাতে দেখা গিয়েছিল অনেককেই। একপর্যায়ে মোটরসাইকেল র‍্যালি দেখা যায় গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের বাইরে। 

তবে, এ ঘটনা থেকে বড় কোনো অশান্তি ছড়ায়নি। আপাতত পুলিশের আয়ত্তেই আছে পরিস্থিতি। মূলগঞ্জ থেকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মী-সমর্থকেরা পদযাত্রা শুরু করেন। চলে আসেন সদ্ভাবনা চৌকির কাছে। সেখানে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

তারপর সেখানেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলতে থাকেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মী-সমর্থকেরা। ধরনায় বসে যান। ধরনায় বসে ‘হনুমান চালিশা’ পাঠ করতে থাকেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মী-সমর্থকেরা। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অঙ্কিতা শর্মা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপরই সেখান থেকে উঠে যান তারা। 

এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও হিন্দুস্তান লাইভ ব্যতীত অন্য কোনো গণমাধ্যম এর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। 

সূত্র: হিন্দুস্তান লাইভ 

জেএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *