দীর্ঘদিন লুকিয়ে প্রেমের পর চলতি বছরের শুরুতে বিয়ে করেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে শ্রীময়ীর গলায় মালা দেন কাঞ্চন।
দীর্ঘদিন লুকিয়ে প্রেমের পর চলতি বছরের শুরুতে বিয়ে করেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে শ্রীময়ীর গলায় মালা দেন কাঞ্চন।
স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কাঞ্চনকে নিয়ে কম অভিযোগ তুলেননি তার প্রাক্তন স্ত্রী পিংকী। তবে এক্ষেত্রে নিজেকে ব্যতিক্রম মনে করেন শ্রীময়ী। এই অভিনেত্রীর দাবি, কাঞ্চনের সঙ্গে ১০ বছর সংসারের পর বিচ্ছেদ হলেও ঘরের কথা বাইরে বলতে যাবেন না।
সম্প্রতি ওপার বাংলার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে শ্রীময়ী লিখেছেন, আমাদের বিয়ের সাত মাস কেটেছে সবে। কিন্তু চেনা জানা তো দীর্ঘদিনের। সেই প্রথম চেনার সময় এত ভয় ছিল না, নিরাপত্তার অভাব বোধ হতো না। কেউ যখন তখন যে কোনও ছবি প্রকাশ্যে এনে দেবে, এমন দুর্ভাবনাও ছিল না।
প্রায় ১২ বছর আগে যখন কাঞ্চনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তখন সবে মাধ্যমিক দিয়েছি। কথা হতো, আজ আমার ভূগোল পরীক্ষা ছিল, নাকি ইতিহাস পরীক্ষা ছিল, সেসব নিয়ে। তখন দামি ফোনও ছিল না। দেখা সাক্ষাৎ হতো কাজের জায়গায়। তবে আমরা যে খুব বেশি একসঙ্গে কাজ করেছি তেমনটাও তো নয়। অপেক্ষা করে থাকতাম দুর্গা পুজার জন্য। সেই সময় একটা দিন বিশেষভাবে দেখা হত কাঞ্চনের বন্ধুর বাড়িতেই।
কাঞ্চনদের একটা গ্রুপ ছিল, ইন্ডাস্ট্রির অনেক বন্ধুরাই ছিল সেখানে। খরাজদার (খরাজ মুখোপাধ্যায়) বাড়িতে আড্ডা বসত। প্রথমদিন থেকে আমাদের সম্পর্কের সাক্ষী খরাজদা।
সেই সবদিন বড্ড মনে পড়ে। এখন এই সামাজিক মাধ্যমের অতি সক্রিয়তার যুগে সেসব যেন কোথায় হারিয়ে গেল। প্রেমের সূচনা পর্বে কখনও ভয় পাইনি, কিংবা প্রেম জাহির করার প্রয়োজনও বোধ করিনি। গান-বাজনা, আড্ডা এসব নিয়েই দিন কেটেছে। অনেক বেশি সুরক্ষিত বোধ করতাম।
কিন্তু এখন মানুষের প্রতিবাদ থেকে দৈনন্দিন খুঁটিনাটি— সব কিছুর একটাই জায়গা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে একটা বিষয়ে আমি নিশ্চিত, সম্পর্ক শুরুর দিনগুলো যেমন ঢাক ঢোল পেটাইনি, তেমনই এই সম্পর্কে যদি কোনও দিন ইতি টানতে হয়, তাহলে সেটাও হবে সৌজন্য বজায় রেখেই। হতেই পারে ১০ বছর বাদে আমরা হয়তো একসঙ্গে থাকতে পারলাম না। তখন আমি আমার অন্দরমহলের কথা নিশ্চয় রাস্তায় ছড়িয়ে দেব না!
কাঞ্চনের আগের বিয়ের ক্ষেত্রে তো সেই কুৎসা হল। আমার খুব খারাপ লেগেছিল। বিষয়টা ব্যক্তিগত রাখা যেত। সেটা নিয়ে রাস্তায় নামার দরকার ছিল না। পরে একটা বিবৃতি দিলেই তো মিটে যেত। অনেকটা উত্থান-পতন, বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে এই সম্পর্কটা পরিণতি পেয়েছে। আমি চাই আমাদের এই বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক।
এনএইচ