কমালা জিতলে অভিবাসীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেবেন : ট্রাম্প

কমালা জিতলে অভিবাসীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেবেন : ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সমালোচনা করে রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচিত হলে সীমান্ত খুলে দেবেন কমালা  হ্যারিস; যাতে অভিবাসী, সংঘবদ্ধ গ্যাং ও অপরাধীরা অনুপ্রবেশ করতে পারেন। দেশটির নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের কিনস্টনে রিপাবলিকান পার্টির এক সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সমালোচনা করে রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচিত হলে সীমান্ত খুলে দেবেন কমালা  হ্যারিস; যাতে অভিবাসী, সংঘবদ্ধ গ্যাং ও অপরাধীরা অনুপ্রবেশ করতে পারেন। দেশটির নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের কিনস্টনে রিপাবলিকান পার্টির এক সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, কমালা হ্যারিসের কোনও রূপকল্প নেই, কোনও ধারণা নেই এবং কোনও সমাধান নেই। তার একমাত্র বার্তা হলো বিভিন্ন সমস্যার জন্য তিনি নিজেকে দোষারোপ করছেন।

সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘‘কমালা যা বলেন তার সবই মিথ্যা। তার কোনও রূপকল্প নেই, কোনও মতাদর্শ নেই এবং কোনও সমাধান নেই। তিনি শুধু বলতে পারেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এটা করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটা করেছেন।’’

তিনি বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস যদি জয়ী হতে পারেন, তাহলে প্রথম দিনেই সীমান্ত খুলে দেবেন। আমি জানি, কেন তিনি এটা করবেন। এটা কেউই জানেন না। আমি জিতলে আমেরিকার জনগণই আবার এদেশের শাসক হবে। কমালা তার শপথের লঙ্ঘন করেছেন। আমাদের সার্বভৌমত্বের সীমানা উচ্ছেদ করেছেন। 

ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা পুনরায় ফিরিয়ে আনার ওপর নিজের প্রতিশ্রুতিতে জোর দিয়েছেন তিনি। দেশটির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কর্মজীবীদের কর হ্রাস এবং প্রবীণ নাগরিকদের ভাতা বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর আরোপিত কর কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। 

‘‘যেদিন আমি শপথ নেব, সেদিনই অভিবাসীদের হানা শেষ হবে। একই দিনে আমাদের দেশকে পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হবে। আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী, কর্মজীবী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কর কমিয়ে দেওয়া হবে।’’

এদিকে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের শেষ সময়ে সোমবার ‘সুইং স্টেট’ বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো চষে বেড়াচ্ছেন দুই প্রার্থী— ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমালা হ্যারিস। নির্বাচন নিয়ে করা জরিপগুলো দুই প্রার্থীর মধ্যে তুমুল লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছে।

জর্জিয়া থেকে বিবিসির নর্থ আমেরিকা করেসপন্ডেন্ট জন সুদওয়ার্থ লিখেছেন, শেষ দিকের প্রচারেও ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রচারে অভিবাসন বিরোধী বার্তাকেই সামনে রেখেছেন।

অন্যদিকে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বিবিসির কোর্টনি সুব্রামানিয়ান লিখেছেন, কমালা হ্যারিসের প্রচার দল তার জয়ের বিষয়ে সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। তারা এখন ‘সুইং স্টেট’ বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য বলে পরিচিতি অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটারদের নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন। মঙ্গলবার এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর মধ্যেই প্রায় সাড়ে সাত কোটিরও বেশি ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন।

এসএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *