বড় অংকের বিনিয়োগ, মিলিয়ন ডলারের চুক্তি, গণমাধ্যমের শিরোনাম, ট্রান্সফার মার্কেটের অস্থিরতা– বছর দুয়েক আগে সৌদি প্রো লিগের ফুটবলের দুনিয়ায় আগমনের সময়ে চিত্রটা ছিল অনেকটা তেমনই। প্রজন্মের অন্যতম সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর উপস্থিতিতে জাগরণের শুরু হয়ে এশিয়ান এই লিগে। এরপর থেকে রীতিমত তারার হাট বসেছে সৌদি লিগে।
বড় অংকের বিনিয়োগ, মিলিয়ন ডলারের চুক্তি, গণমাধ্যমের শিরোনাম, ট্রান্সফার মার্কেটের অস্থিরতা– বছর দুয়েক আগে সৌদি প্রো লিগের ফুটবলের দুনিয়ায় আগমনের সময়ে চিত্রটা ছিল অনেকটা তেমনই। প্রজন্মের অন্যতম সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর উপস্থিতিতে জাগরণের শুরু হয়ে এশিয়ান এই লিগে। এরপর থেকে রীতিমত তারার হাট বসেছে সৌদি লিগে।
কিন্তু সব শুরুরই বোধকরি শেষ আছে। সৌদি লিগের জনপ্রিয়তার গল্পটাও সেই স্রোতে হেঁটেছে। জনপ্রিয়তার নিরিখে অনেকটাই নিচের দিকে এশিয়ান এই লিগের খেলা। এমনকি মাঠে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর উপস্থিতিও আগ্রহ জাগাতে ব্যর্থ হয়েছে দর্শকদের মনে। এমনকি আল-নাসরের ম্যাচে মাত্র ৪৪ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিল কেবল হাজার তিনেক দর্শক।
সৌদি প্রো লিগে দর্শকদের আগ্রহে ব্যাপক ভাটা পড়েছে, সেটা বোঝা যায় লিগের গড় উপস্থিতি থেকেই। ২০২৩ সালে প্রাপ্ত এক তথ্য অনুযায়ী, ভারতের ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল) এর ম্যাচগুলোতেও গড়ে সৌদি লিগের তুলনায় বেশি দর্শক জড়ো হয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গত মৌসুমে সৌদি লিগে গড়ে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন ৮ হাজার ১৫৮ জন দর্শক।
সৌদি লিগের এমন অবস্থা তাকে জনপ্রিয়তার নিরিখে শীর্ষ ৩০ লিগেও আসতে দেয়নি। এমনকি জনসংখ্যায় অনেকটা পিছিয়ে থাকা স্কটল্যান্ডও ফুটবলের প্রতি দেখিয়েছে অসামান্য ভালোবাসা। জনসংখ্যা অনুপাতে স্টেডিয়ামে গড় উপস্থিতির হিসেবে সবার ওপরে স্কটিশ লিগ। যেখানে লিগ ম্যাচে গড় দর্শক ১৬ হাজার ১১৫ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএসে লিওনেল মেসির আগমনের অনেক আগে থেকেই দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতোই। সেখানে ম্যাচপ্রতি দর্শক সংখ্যা ২৩ হাজার ৭৫০ এর বেশি। যদিও মহাদেশে তারাই শীর্ষে নেই। মেক্সিকোর লিগা মেকিক্সই উত্তর আমেরিকায় দর্শক জনপ্রিয়তায় সবার ওপরে।
দক্ষিণ আমেরিকায় ব্রাজিলের ফুটবল লিগ নিয়ে ব্যাপক মাতামাতি চললেও লিগে দর্শক উপস্থিতির দিক থেকে আর্জেন্টিনার দর্শকদের চেয়ে কিছুটা পিছিয়েই আছে তারা। ব্রাজিলিয়ান লিগে গড় দর্শক উপস্থিতি ২৫ হাজার ৮৬৯ জন। আর্জেন্টিনার লিগে সংখ্যাটা ২৭ হাজার ৩৬৫ জন। বিস্ময়কর ব্যাপার, ফ্রান্সের লিগ ওয়ান বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ লিগ হলেও এখানে দর্শক উপস্থিতির হার আর্জেন্টিনার লিগের চেয়ে কম!
দর্শক উপস্থিতির বিচারে ৫ম স্থানে আছে স্পেনের লা লিগা। যেখানে ম্যাচপ্রতি খেলা দেখতে আসেন ২৯ হাজার দর্শক। এরপরের নামটা বেশ অবাক করার মতোই। বুন্দেসলিগা টু বা জার্মানির দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল দেখতে গড় হিসেবে মাঠে আসেন ২৯ হাজার ২৯০ জন দর্শক। ইতালিয়ান সিরিআ দেখতে মাঠে হাজির হন গড়ে ৩০ হাজার ৯৬০ জন।
লিগের দর্শক উপস্থিতির বিচারে সারাবিশ্বে ২য় স্থানে আছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। ইপিএলের প্রতি ম্যাচে আনুমানিক সাড়ে ৩৮ হাজার মানুষ জড়ো হন। আর সবচেয়ে বেশি দর্শক সমাগম ঘটে জার্মান বুন্দেসলিগার ম্যাচে। যেখানে প্রতি ম্যাচে স্টেডিয়ামে গড়ে ৩৯ হাজার ৫০৬জন দর্শক উপস্থিত থাকেন।
জেএ