নিরাপত্তাহীনতার কারণে এবছর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান আয়োজন না করার সিদ্ধান্তের ঘোষণা আসতেই তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। রাঙামাটি কঠিন চীবরদান সুষ্ঠুভাবে পালন করার লক্ষ্যে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক।
নিরাপত্তাহীনতার কারণে এবছর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান আয়োজন না করার সিদ্ধান্তের ঘোষণা আসতেই তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। রাঙামাটি কঠিন চীবরদান সুষ্ঠুভাবে পালন করার লক্ষ্যে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জোবাইদা আক্তার, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপেন তালুকদারসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের উপাসক-উপাসিকারা।
আলোচনা সভায় বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে পাহাড়ে কঠিন চীবরদান না করার যে ঘোষণা ভিক্ষুসংঘ দিয়েছে, এই বিষয়ে কীভাবে আস্থা ফিরেয়ে আনা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা হয়।
পাহাড়ে সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে পালন করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, পাহাড় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে সকলের ধর্মীয় উৎসবগুলো উদযাপন করে থাকে। প্রতিবছরের মত এবারও কঠিন চীবরদান উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।
পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় যে অনাস্থা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মনে তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনীর পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তিনি আগের মত চীবরদান অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বৌদ্ধ ভিক্ষু ও উপাসক-উপাসিকাদের অনুরোধ জানান।
এর আগে রোববার পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাজনিত কারণে তিন পার্বত্য জেলায় কঠিন চীবর দান উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত নেয় পার্বত্য চট্টগ্রামসহ ভিক্ষু সংঘসহ ১৫টি ভিক্ষু সংগঠন। এতে একাত্মতা ঘোষণা করে রাঙামাটি রাজবন বিহারও।
মিশু মল্লিক/আরকে