ওয়ান ইলেভেন ও স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা সরকারকে ঘিরে ধরেছে

ওয়ান ইলেভেন ও স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা সরকারকে ঘিরে ধরেছে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চারপাশে ওয়ান ইলেভেনের প্রেতাত্মারা ঘিরে ধরেছে। হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগীদের চারপাশে বসিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে সজাগ না হলে এবং প্রতিহত করা না গেলে ফের দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে যাবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চারপাশে ওয়ান ইলেভেনের প্রেতাত্মারা ঘিরে ধরেছে। হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগীদের চারপাশে বসিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে সজাগ না হলে এবং প্রতিহত করা না গেলে ফের দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মরহুম রুহুল আমীন গাজীর স্মরণে আয়োজিত নাগরিক শোক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাহিদ বরেন, অনেক মানুষের রক্তের ওপর পা রেখে আপনারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) ক্ষমতায় বসেছেন। কোনো অবস্থাতেই নিজেদের অসীম ভাববেন না। সবার সীমাবদ্ধতা আছে। বিগত ১৬ বছর ধরে যারা মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে ঘুরেছে, সে মামলাগুলো এখনো কেন নিষ্পত্তি করা হচ্ছে না? এসব মামলা তুলে নেওয়ার জন্য কেন তাদের কোর্টের বারান্দায় ঘুরতে হবে? আপনার এখন অনেকেই দায়িত্ব নেওয়ার পর সুর পাল্টে কথা বলছেন, আইনকানুনের কথা বলছেন।

তিনি বলেন, আপনারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) ওয়ান ইলেভেনের সুবিধাভোগীদের চতুর্দিকে বসিয়েছেন। শেখ হাসিনার সুবিধাভোগীদের সাথে নিয়ে সরকার চালাচ্ছেন। সেই জন্য আজ এ অবস্থা। সরকারের বয়স এখন দুই মাস হয়ে যাচ্ছে। এখনো কী আপনাদের ঘুম ভাঙেনি। আপনাদের চতুর্দিকে ওয়ান ইলেভেন এবং স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ঘিরে ধরেছে। এদের থেকে বের হয়ে না আসলে ওরা আপনাদেরও গিলে খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই দয়া করে ঘুম থেকে উঠুন। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ, ছাত্র-জনতা আপনাদের পাশে আছে। আপনারা দয়া করে সচেতন হোন।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে হাজিরা দেওয়ার পর জেলে যেতে হবে, এমন স্বাধীনতা তো আমরা চাইনি। দুর্নীতিবাজ, অপরাধীদের সরকার খুঁজে পায় না… শুধু মাহমুদুর রহমানকে জেলে পাঠাতে পারে।

প্রয়াত রুহুল আমীন গাজীর স্মরণে ডা. জাহিদ বলেন, তিনি মানবিক গুণাবলির মানুষ ছিলেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পেছনে কে আছেন সেটি খেয়াল রাখেননি। সবসময় সাহস নিয়ে চলেছেন। সাংবাদিকদের যেকোনো দাবি আদায়ে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তাকে যখন জেলখানায় নেওয়া হয়েছে, তখন খুব অসুস্থ ছিলেন। সরকার তাকে চিকিৎসা দেয়নি। যার ফলে তার অসুখ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তাকে ফ্যাসিস্টরা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। এখনো স্বাধীনতা আসেনি। মানবাধিকার, আইনের শাসন নিশ্চিত হলেই রুহুল আমীন গাজীর আত্মা শান্তি পাবে।

এ সময় সিনিয়র সাংবাদিক, সাংবাদিক সংগঠনের নেতা ও রাজনৈতিক দলের নেতারা রুহুল আমীন গাজীর স্মৃতিচারণ করেন।

আরএইচটি/কেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *