নন এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার দাবিতে খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষকরা।
নন এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার দাবিতে খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষকরা।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নন এমপিও শিক্ষক পরিষদের সভাপতি নাজমুন নাহার ও সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা তোয়াব স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রদান করা হয়।
বৈষম্য দূরীকরণে মাধ্যমিক স্তরের নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ, এমপিওভুক্তির পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টাকে চারটি সমস্যার বিষয় স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা জানান, পতিত সরকার পরিকল্পিতভাবে মাধ্যমিক শিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী দেশ গড়ার যে স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছে তাতে আমরাও নতুন করে স্বপ্ন দেখছি। আপনার (শিক্ষা উপদেষ্টা) গতিশীল নেতৃত্বে মাধ্যমিক শিক্ষা আবার জেগে উঠবে। আপনার এ স্বপ্নযাত্রায় আমরাও আপনার সহযাত্রী হতে প্রস্তুত।
স্মারকলিপিতে আরও যেসব বিষয় উল্লেখ করেন শিক্ষকরা
১. শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদান প্রক্রিয়া সরকারি, এমপিও, নন এমপিও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্য হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীগণ বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত, চরমভাবে বৈষম্যের শিকার।
২. কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থাপনের বয়স ২৫ বছর বা তার চেয়েও বেশি। অনেক শিক্ষক কর্মচারী অবসরে গেছেন কেউ কেউ বেতনবিহীন অবস্থায় রোগে শোকে মৃত্যুবরণ করেছেন।
৩. এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া, সরকার প্রতি বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে। দুঃখের বিষয়, বিগত সরকার নির্বাহী আদেশে কিছু সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক বিবেচনায় শর্ত শিথিল করে এমপিওভুক্ত করেছে।
৪. প্রতি বছর বাজেটে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকলেও অদৃশ্য কারণে এমপিওভুক্তকরণ বন্ধ রাখা হয়।
মোহাম্মদ মিলন/এসকেডি